মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা বীরভূম থেকে ধৃত বিজেপি নেতা সহ তিনজনকে ফের কোর্টে পাঠাল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর বহরমপুরের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বীরভূমের পাইকর এলাকার বাসিন্দা কার্তিক রাজবংশী, প্রিয়তোষ মণ্ডল ও জীবন আহমেদকে। রবিবার তাদের কোর্টে পাঠিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ফের ধৃতদের কোর্টে পাঠায় পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কালোটাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছে। ধৃতদের মধ্যে প্রিয়তোষ মণ্ডল বীরভূমের বিজেপি যুব মোর্চার নেতা বলে খবর। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ ধৃত প্রিয়তোষ মণ্ডল। অভিযুক্ত প্রিয়তোষ মণ্ডল জানান, ‘আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে। আমি বন্ধু ভাবতাম যাদের তারাই ফাঁসিয়েছে। দলও আমার সাথে চক্রান্ত করছে। আমার কাছে কোন এটিএম কার্ড নেই।’
ঘটনাটির সঙ্গে মিল পাবেন ওয়েব সিরিজ ‘জামতারা’র সঙ্গে। যেখানে ঝাড়খণ্ডের একদল তরুণ-তরুণীরা মিলে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ফোন করছি কিংবা সরকারি দপ্তর থেকে ফোন করছি। এই বলে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে ফেলছে। এবং কেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিম নষ্ট করে হারিয়ে যাচ্ছে সবারির মাঝখান থেকে। গল্প হলেও সত্যি! এমনই কিছু ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছিলেন বহরমপুরের এক বাসিন্দা।
ঘটনার সুত্রপাত বহরমপুর শহরের গান্ধী কলোনির বাসিন্দা সমিত ভকত তাঁর এটিএম কার্ড ও পিন নাম্বার এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন ফাঁদে পরে। তারপরেই তাঁর আক্যাউন্ট থেকে আঠেরো লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। প্রথমে ঘাবড়ে যান তিনি। অভিযোগ দায়ের করেন ব্যাঙ্কে এবং বহরমপুর থানায়। আর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার মতন অবস্থা বহরমপুর থানার।
পুলিশের দাবি, কালো টাকা সাদা করার জন্য ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হয়েছিল। আর সেই ঘটনায় বহরমপুর থানার পুলিশ শনিবার গভীর রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে তিনটি অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে। ৩৩টি এটিএম কার্ড পেয়ছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে ৫০ লক্ষ টাকার উপরে লেনদেন হদিস পেয়ছে। আরও তদন্ত চলছে। তবে ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে এই চক্রের মূল মাথা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তার খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।