নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারিতে হল কাউন্সিলিং। অবশেষে কাউন্সিলিং সেরে বেড়িয়ে খুশি প্রাথমিকের নিয়োগপ্রাপ্তরা। কাউন্সিলিং সেরে বেড়িয়ে পলাশীর বাসিন্দা আইসি সিদ্দিকা সেখ জানালেন, দীর্ঘ আন্দোলনের অপেক্ষার অবসান হল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বহরমপুরে প্রাথমিক সংসদে কাউন্সিলিং শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু কাউসিলিং শুরু হতেই অস্বচ্ছতার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। কান্দির মহালন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা, চাকরিপ্রার্থী কাজি সাইদুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে তৃতীয় স্থানাধিকারী ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “আজ সকালে ১১ টা থেকে কাউন্সিলিং শুরু হয়। প্রথমে ৬ জনকে ডাকা হয়। তার মধ্যে আমিও ছিলাম। কাউন্সিলিংয়ে ঢুকে জানতে পারি এখানে লিস্টে গলদ আছে। পার্শ্ববর্তী স্কুলে শূন্যপদ থাকা সত্বেও পোস্টিং না দিয়ে আমাকে দূরের স্কুলে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। তখন নিয়োগপত্র না নিয়ে প্রতিবাদ দেখায় এই ঘটনার। এরপরে সংসদে উপস্থিত সমস্ত টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন ও বিক্ষোভ দেখান।
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সামনে বেশ খানিকক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরে। চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিত এসে স্বচ্ছভাবে তালিকা বের করার আশ্বাস দেন। এরপরে সংসদ চত্বরে আবার নতুন করে তালিকা টাঙানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পরে আবার শুরু হয় কাউন্সিলিং। এদিন আবার বেলা তিনটের পর ফের সংসদের ভিতরে প্রবেশ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর লাইন দিয়ে চলে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান আশিস মার্জিত জানান, “রাতে টাঙানো হয়েছিল তালিকা। কেউ বা কারা ছিঁড়ে ফেলেছিল। আজ ফের তালিকা টাঙানো হয়। এখন স্বচ্ছভাবে মেধার ভিত্তিতে চলছে কাউন্সিলিং।”
মঙ্গলবার থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে চলছে তিনটি ধাপে কাউন্সিলিং। শেষে চেয়ারম্যানের অফিসে এক এক করে নিয়োগপ্রাপ্তরা গিয়ে বেছে নিচ্ছেন স্কুল। সই করে বেড়িয়ে আসছেন। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান। নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে খুশি প্রাথমিকের নিয়োগপ্রাপ্তরা।