মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মাসের শেষ দিনে মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বহরমপুর স্টেডিয়ামে হবে সেই সভা। তার আগে সেজে উঠেছে স্টেডিয়াম চত্বর। এর ঠিক পরদিনই জেলায় শুরু হচ্ছে জাতীয় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচি। ১৪ই ফেব্রুয়ারি মনিপুর থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রা। সেই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। মুর্শিদাবাদ জেলায় পরপর দু’টি হেভিওয়েট কর্মসূচি থাকায় প্রশাসনিক মহলের ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই ব্যস্ততার মাঝেই চড়েছে তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের রাজনৈতিক পারদ।
কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রায় অসহযোগীতার অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুরও শোনা গেছে কংগ্রেসের স্টেট প্রেসিডেন্টের গলায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, “রাহুল গান্ধীর সাথে আমি এর আগে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পদযাত্রায় হেঁটেছি। কিন্তু এরকম অসহযোগিতা কোথাও দেখিনি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের এই র্যালি করতে সাহায্য না করে, সেই জায়গায় অসহযোগিতা করছে। আমরা এটা আশা করিনি। বাংলার সংস্কৃতি বাংলার ঐতিহ্য এইরকম নয়। আমাদের সংস্কৃতি বলে ‘অতিথি দেব ভব’… মণিপুরে এসব মানা যায়, আসামে মানা যায়, কিন্তু বাংলায় এটা কাম্য ছিল না। জানি না রাহুল গান্ধীর সাথে রাজ্য প্রশাসন এই ব্যবহার কেন করছে?”
এই বিষয়ে অধীরের পাল্টা মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অসহযোগিতার অভিযোগের প্রত্যুত্তরে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘অধীর চৌধুরী পাগলামি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে কী বলছেন, তাদের সুর দেখুন। উনি চ্যালেঞ্জ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তখন মনে ছিল না কাকে চ্যালেঞ্জ করছে। একজন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে বড়বড় কথা বলার এফেক্ট কী হতে পারে। কালকের সভার পরে তো স্টেডিয়াম ফাঁকা থাকবে রাহুল গান্ধীকে বলুন না প্রোগ্রাম করতে। কে আঁটকেছে?”
ভরতপুরের এই বিধায়ক আগে অধীরগড়েরই একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। পরে শেষ বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন হুমায়ুন। দলের বিদ্রোহী সৈনিক হিসাবে পরিচিত এই বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক পারদ যখন তুঙ্গে তখন হুমায়ূন বলেন, “আমাদের নেত্রী চার পাঁচদিন আগেই বলেছেন, কংগ্রেস যখন র্যালি করছে, আগেই তো চিঠি দেওয়া উচিৎ ছিল। এখন খার্গে জি চিঠি দিচ্ছে। এই চিঠি তো আগে দেওয়া উচিৎ ছিল। তাহলে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা তৈরি হত না। অধীর চৌধুরী মমতা বানার্জীকে অসম্মান করবে, অভিষেক ব্যানার্জিকে ছোঁড়া বলবে। আর তাঁর প্রশাসনের কাছ থেকে অধীর চৌধুরীকে রেয়াত করা হবে কেন? আশা করায় তো ভুল।”