বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান ছিল বুধবার দুপুরে। বিভিন্ন ব্লক থেকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাঁরা নেবেন তাঁদেরকে জেলা প্রশাসন থেকে বন্দ্যোবস্থ করে দিয়েছিল মাঠে আসার জন্য। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেও ‘মাঠ ভরাতে’ লোক এসেছিলেন সরকারি খরচে। এরপরেও তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে সরকারি সভায় লোক পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি হাজার বিশেক থেকে তিরিশ হাজার মত হওয়ার কথা।
বহরমপুর স্টেডিয়ামের যা আয়তন তা কানায় কানায় পূর্ণ হলেও বাহান্ন হাাজার থেকে তিপান্ন হাজার লোক বসতে পারবেন। যদি প্রত্যেকের জন্য পাঁচ স্কোয়ার ফুট করে জায়গা বরাদ্দ থাকে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাজার পনের লোকের বসার জায়গা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভা শুরুর অনেক আগে থেকেই মাঠে জন সমাগম হয়েছিল। কিন্তু সবটাই ছিল স্টেডিয়াম জুড়ে। মূল সভাস্থল ছিল ফাঁকাই। জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার মাইকে ঘোষণা করার পর তৎপরতা বাড়ে পুলিশ আধিকারিকদের। মূল সভাস্থলে মানুষজন প্রবেশ করেন তারপরেই। কিন্তু সভা শেষেও প্রায় ফাঁকাই ছিল। সভার বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার চেষ্টা করলেন অধিকাংশ জন।
মাঘ মাস হলেও মাথার উপরে চড়া রোদ। শীতের আড়িমুড়ি ভেঙে সেই রোদ গায়ে মেখে হাল্কা মেজাজেই কাটালেন মানুষজন। চিড়ে ভাজা থেকে বাদাম, শোনপাপড়িও বিকোল ভালোই। বাদ ছিল না আঁখের রসও। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় খুব নিচু স্কেলে বাঁধা ছিল মাইক। সভায় বেজেছে গান। সব মিলিয়ে জানুয়ারীর শেষ দিন বহরমপুর স্টেডিয়াম মেলার চেহারা নিয়েছিল।
যত ভিড় ছিল স্টেডিয়ামের রাস্তায়। বহরমপুর কলেজ ছাড়িয়ে তিন মাথার মোড়ে রাস্তা আটকে বহরমপুর শহর তৃণমূলের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ছোটখাটো জমায়েত হয়েছিল। সেই ভিড় ঠেলে বহরমপুর সার্কিট হাউজের দিকে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী পায়ে হেঁটে। সেখানেই রাত্রিবাস করবেন বলে সূত্রের খবর। তবে বহরমপুর লোকসভা আসনে তার ফল কতটা পড়বে তা সময়ই বলবে, বলছেন তৃণমূলেরই কেউ কেউ।