নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ রাত পোহালেই রাজ্যের তিনটি বড় চাকরির পরীক্ষা। একদিকে দুটি পর্বে হবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। আবার একইদিনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। একদিনে তিনটি বড় চাকরির পরীক্ষা হওয়ায় বহরমপুর শহরে যানজট তৈরির যেমন আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরা তেমনি নির্বিঘ্নে পরীক্ষা উতরোতে প্রস্তুত মুর্শিদাবাদ জেলা সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসন।
বহরমপুরে চারটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হবে। মহারানি কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়, নগড়াজল উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, গজধরপাড়া হাইস্কুল, সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলেই আবার দ্বিতীয় পর্বের উচ্চপ্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হবে। দুপুর ২.৩০ থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই পরীক্ষা হবে।
জেলায় প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার্থী ৯৪৪ জন, উচ্চপ্রাথমিকের টেট পরীক্ষার্থী ১৫৪০জন। সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশনে দুটো পর্বে সবচেয়ে বেশি ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী আছেন। সংখ্যালঘু দপ্তরের জেলা আধিকারিক রেনুকা খাতুন বলেন, “পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।”
ওইদিনই মুর্শিদাবাদ জেলার ১৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার পরীক্ষার্থী রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরীক্ষায় বসবেন বলে জানান ওসি পাবলিক এক্সাম এষা ঘোষ। বহরমপুরে দশটি পরীক্ষাকেন্দ্র আর লালবাগ, নতুনগ্রাম ও বেলডাঙায় একটি করে মোট ১৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা হবে বেলা বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত।
তবে জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “ট্রাফিক জ্যামের কোনও সম্ভাবনাই নেই। একে রবিবার তার ওপর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কম। পরীক্ষার টাইমটেবল ও এক নয়। স্বাভাবিকভাবেই যানজট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।”
এদিকে একইদিনে তিনটে পরীক্ষা হওয়ায় তিনটি ক্ষেত্রেই পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হবে বলে মনে করেন বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের শীর্ষ নেতা আসিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ বদলানোর দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু কমিশন আমাদের কথা শুনলো না। কাল অনেকেই হয় টেট দেবে না হয় পুলিশের পরীক্ষা দেবে। যাঁরা দুটো পরীক্ষারই যোগ্য ছিল।”