বহরমপুরের ৮৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী স্কুল জে.এন.একাডেমি পেলো সেরার শিরোপা।

Published By: Madhyabanga News | Published On:

ঋত্বিক দেবনাথ, বহরমপুরঃ ঝাঁ চকচকে প্রাইভেট স্কুলের সামনে বর্তমানে কোথাও কী হারিয়ে যাচ্ছে সরকারি স্কুলগুলির গুরুত্ব? হয়ত নেই ঝাঁ চকচকে ব্যাপারটা, নেই অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও। কিন্তু এখনও আছে সঠিক এবং মৌলিক শিক্ষা প্রদান করার অদম্য ইচ্ছে। এবং সেই ইচ্ছে ডানায় ভর করেই ১৯৪০ সালে শ্রী জগন্নাথ মজুমদারের হাত ধরে জে.এন.একাডেমি তার পথ চলা শুরু করে। মুর্শিদাবাদের নাম করা স্কুল জে.এন.একাডেমি। প্রাক স্বাধীনতার সময় জগন্নাথ মজুমদারের অনুভব করেন জেলায় শিক্ষার প্রদীপ কমতে বসেছে এবং প্রদীপ যাতে না নিভে যায় ঠিক সেই ইচ্ছে এবং ভাবনাকে নিয়ে তিনি এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন।

তারপর পেরিয়ে যায় ৮৩ টা বছর আজও বহরমপুরের জে.এন.একাডেমি নিঃস্বার্থ ভাবে হাজারও ছাত্রদের শিক্ষা প্রদান করে চলেছে। এবার সেরা বিদ্যালয়ের সম্মান পাচ্ছে বহরমপুর জে.এন.একাডেমি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের ১৩ টি স্কুলকে এবার দেওয়া হচ্ছে- সেরা বিদ্যালয়ের সম্মান। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মুর্শিদাবাদের জে.এন.একাডেমির। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় জানান, এই সাফল্যের পেছনে সমস্ত শিক্ষক থেক শুরু করে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবদান খুব বেশি। প্রতি মুহূর্তে ওনারা ছাত্রদের সাথে থাকার চেষ্টা করেন দরকারে স্কুলেই এক্সট্রা সময় দিয়ে তাদের পড়া বোঝানও হয়।

স্কুল প্রাঙ্গন

পড়াশোনার গুণগত মানের জন্যই এই তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৯৪০ সালে স্থাপিত এই স্কুল। ৫ তারিখ এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে স্কুল কতৃপক্ষের হাতে। এই বছর সেরা বিদ্যালয় সম্মান পাচ্ছে রাজ্যের ১৩ টি স্কুল তার মধ্যেই বহরমপুরের জে.এন.একাডেমি। এই খবরে খুশির হাওয়া স্কুলে। এই বছরই বিদ্যাসাগর সায়েন্স অলিম্পিয়াডে জে.এন.একাডেমি থেকে তিন ছাত্র স্থান অধিকার করেছেন। গর্বিত প্রাক্তন ছাত্র থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা সকলেই।