Suvendu Adhikari কান্দির ক্যাম্প নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীর মুর্শিদাবাদের কান্দিতে এসসি, এসটি, ওবিসি সার্টিফিকেটের সরকারি ক্যাম্প ঘিরে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কান্দির বিডিও অফিসের একটি নোটিশের ছবি। সেখানে জানানো হচ্ছে যে কান্দি ব্লক এলাকায় তিনটি পঞ্চায়েতে হবে এসসি, এসটি, ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য বিশেষ ক্যাম্প। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ রাজ্যজুড়ে এভাবে শিবির করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এবং ভুয়া ব্যক্তিদের নামে জাতিগত সংশাপত্র ইস্যু করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে জোট সম্ভাবনা প্রবলঃ হুমায়ুন
শুভেন্দু লিখেছেন, “এই ভণ্ডামিটা দেখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রাজ্যজুড়ে শিবির করছে যাতে বিপুল সংখ্যক নথিহীন অনুপ্রবেশকারী ও ভুয়ো দাবিদারদের এসসি, এসটি, ওবিসি শংসাপত্র বিলি করা যায়”। “হঠাৎ এই তাড়াহুড়োর কারণ কী?” প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
Suvendu Adhikari মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী
এরপর শুভেন্দু নিজের বলেছেন, “ “কারণ ভারত নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়া তাদের ভোট জালিয়াতির চক্রকে ( ভোটার ফ্রড র্যাকেট) সামনে এনে দেবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভোট ব্যাংক’-এর বড় একটি অংশ নিজের নামকে আসল ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলাতে পারছে না এবং খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। এই কারণেই ( রাজ্য সরকারের) মরিয়া ভাব স্পষ্ট” ।

Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী আরোও দাবি করেছেন, “ এটি হল অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে এমন ‘শংসাপত্র’ গুঁজে দেওয়ার প্রকাশ্য চেষ্টা, যা চাতুর্যের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর শুনানির জন্য নির্দিষ্ট ১৩টি নথির তালিকার সঙ্গে মিলে যায়। পুরো গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করার চেষ্টা। ভুয়ো SC/ST/OBC পরিচয় দিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে প্লাবিত করার প্রচেষ্টা”।
বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, “ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠী শুধু সংরক্ষণের ধারণাকে ক্ষুণ্ণ করছে না, তারা প্রকৃত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাপ্য সুবিধাও ছিনিয়ে নিচ্ছে। আসল তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ দেখবে তাদের সুবিধা হারিয়ে যাচ্ছে, কারণ অযোগ্য ব্যক্তিরা দলে দলে ঢুকে অনৈতিক দাবি জানাবে।”
Suvendu Adhikari এরপর নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক হওয়ার আবেদনও করেছেন শুভেন্দু। তিনি লিখেছেন, “ আমি নির্বাচনী কমিশনারকে অনুরোধ জানাই—২৪ জুন ২০২৫-এর পরে জারি করা হয়েছে এমন শংসাপত্রগুলিকে যথাযথ সন্দেহের চোখে দেখুন। প্রতিটি শংসাপত্রের ব্যাপারে ব্যাপক তদন্ত চালান। যাচাই করুন যে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়টি প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন বিভাগের দ্বারা এসসি, এসটি, ওবিসি হিসেবে তালিকাভুক্ত কী না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনৈতিকভাবে (প্রধানত ধর্মভিত্তিক) ওবিসি সার্টিফিকেট জারি করার অভ্যাসে আছে। যেগুলো মাননীয় আদালত দ্বারা অনেক ক্ষেত্রে বাতিলও করা হয়েছে। এসআইআর যেন ইলেকটোরাল রোল শুদ্ধ করে। এবং গণতন্ত্র যেন জয় লাভ করে” । শুভেন্দুর ট্যুইয় ঘরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।















