৮ বছর বন্ধ সুতির এই স্কুল ! ৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে অন্য গ্রামে যায় ছাত্রছাত্রীরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ভাগীরথী নদীর পাড়ে অবস্থিত আলমপুর ৬৯ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় ৪০ জন ছাত্রছাত্রী ও ২ জন শিক্ষক আছেন এই স্কুলে। সুতি ১ নম্বর ব্লকের এই প্রাইমারি স্কুলটি থেকে বন্ধ পরে রয়েছে প্রায় ৮ বছর ধরে। ২০১৫ সালে ভাগীরথী পাড়ের ভাঙ্গন শুরু হলে, ভাঙ্গনে তলিয়ে যায় সুতি ১ নম্বর সার্কেলের ৬৯ নম্বর আলমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুম। তারপর থেকে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এই স্কুলের ক্যাম্পাস। বর্তমানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশে পার্শবর্তী গ্রামে ৬০ নম্বর জেহেলীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরে হয় পঠনপাঠন। প্রায় ৪০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়েই ২ জন শিক্ষক প্রতিদিন মর্নিং টাইম এ স্কুল চালান। তবে এভাবে কদিন? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষন চন্দ্র দাস জানান, ” বিদ্যালয়ের ভবন মেরামতের জন্য সুতির বিডিও ও স্কুল পরিদর্শককে লিখিতও জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কোন সুরাহা হয়নি ।”

প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা হওয়ায় বর্ষাকালে পাশের গ্রামের স্কুলে যেতে অসুবিধা হয়। নিজের গ্রামের স্কুল থেকে অন্য স্কুলে পড়তে যান পড়ুয়ারা। এই কারণেই ছাত্রছাত্রী ভর্তির সংখ্যা কমতেই থাকে। ২০১০ সালের পর নিয়োগ হয়নি কোন নতুন শিক্ষকও। সব মিলিয়ে অস্তিত্ব সংকটে এই স্কুল। সম্প্রতি একটি স্কুলের তালিকা সামনে আসার পর থেকে আতঙ্কিত পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, স্কুল বন্ধ না করে তাদের বাচ্চাদের আবার গ্রামের স্কুলেই ফিরিয়ে আনা হোক। তাহলে বাড়বে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা এবং উপকৃত হবে এলাকাবাসীও। স্কুল বন্ধের কথা শুনে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার দুই কর্মীও।