নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলুক আর না ফেলুক রাহুল গান্ধীর “ভারত জোড়ো ন্যায়” যাত্রা নিয়ে উত্তেজিত কংগ্রেস কর্মীরা। মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত ন্যায় যাত্রা হবে। আইনী টালবাহানার পর রবিবার মণিপুরের থৌবাল থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের নয়া কর্মসূচি “ভারত জোড়ো ন্যায়” যাত্রা। ২০ মার্চ মুম্বইয়ে গিয়ে এই পদযাত্রা শেষ হবে। ১৫টি রাজ্যে উপর দিয়ে ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাত্রা ১১০টি জেলার ১০০টি লোকসভা আসন কভার করবে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ১১ দিনে ২০টি জেলায় ১ হাজার ৭৪ কিলোমিটার পথযাত্রা করবেন রাহুল গান্ধী।
তাঁর সঙ্গে পদযাত্রায় পা মিলিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীও। বঙ্গেও চলতি মাসের পঁচিশ তারিখ থেকে এই জন সংযোগযাত্রা শুরু হবে কোচবিহার থেকে। পাঁচ দিনে সাত জেলায় সেই কর্মসূচি পালিত হবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ হয়ে মুর্শিদাবাদেও ন্যায় যাত্রা হবে। তবে নয়া কর্মসূচিকে সমর্থন করে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে কংগ্রেস কর্মীরা রবিবার পদযাত্রা করে বলে জানান জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। বহরমপুরেও জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে এক পদযাত্রা শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে।
২০২২ সালে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীকা থেকে শুরু হয়ে কাশ্মীর পর্যন্ত ১৩৬ দিন হয়েছিল সেই জন সংযোগ যাত্রা। সেবার প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করেছিলেন রাহুল। যদিও বাংলায় তাঁকে সেই জন সংযোগ কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। এবারও রাহুল গান্ধী বাংলায় আসবেন না কি রাজ্যে অধীরের কাঁধে ভর দিয়ে কংগ্রেসের কর্মসূচি উতরোবে তা অবশ্য অজানা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কর্মীদের।
তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অন্যায় অবিচারের অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতেই কংগ্রেসের এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও বহরমপুরে পা দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে “যাত্রাপালা” বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “ রাহুল গান্ধীর পূর্বপুরুষ ভারত তোড়ো যাত্রা করেছিলেন। এটা ন্যায় নয় অন্যায় যাত্রা হচ্ছে। উনি বিদেশ ঘুরে কিছু আইডিয়া নিয়ে আসেন। এসে ভাবেন কিছু একটা করতে হবে তখন করেন। আমরা ওঁকে স্বাগত জানাচ্ছি উনি এই যাত্রাপালা করুন। একে সিরিয়াসভাবে নেওয়ার দরকার নেই। শীতকাল আসলে এইরকম যাত্রাপালা হয়।”