SSC Case মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলে গেলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা

Published By: Imagine Desk | Published On:

SSC Case ৭ ই এপ্রিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। দিলেন কাজে ফেরার বার্তা, প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্কুলে যাওয়ার আশার বাণী শোনালেন। নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, “তিনি বেঁচে থাকতে কারও চাকরি যাবে না।” কিন্তু তাতেও চাকরিহারাদের মনে শঙ্কার মেঘ। ফলত মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও এখনই স্কুলমুখী হচ্ছেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

SSC Case কেউ করিমপুর কেউ হরিহরপাড়ার স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। চাকরি বাতিল হওয়ায় প্রত্যেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। হরিহরপাড়ার বাসিন্দা চাকরিহারা শিক্ষক রবিউল ইসলাম। নদীয়ার করিমপুরের নাটিডাঙা অমিয় স্মৃতি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে স্কুলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারন লিখিত কোন নির্দেশ আমরা হাতে পাইনি। শিক্ষা দপ্তর থেকে কোন লিখিত অর্ডার পাইনি, তাই সেখানে কিভাবে যাবো? আমরা স্কুলে যেতে পারি কিন্তু আমরা ছাত্র ছাত্রীদের সামনে দাঁড়াব কীভাবে ? আমরা দিশাহীন, অপমানিত, ক্লান্ত।”

SSC Case মহিষমারা ঘোড়ামারা হাইস্কুলের শিক্ষক ইউসুফ আলী। ৩ রা এপ্রিলের পর থেকে তাঁর জীবনে নেমেছে অন্ধকার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে চাকরি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের উপরে নন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে লিখিত অর্ডার এসেছে সেখানে আমাদের চাকরি আর নেই। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মৌখিক ভাবে সান্তনা দিলে তো আমরা স্কুলে যেতে পারি না। লিখিত কোন কোর্টের অর্ডার আসলে আমরা স্কুলে যেতে পারি। ”

SSC Case  অন্যান্য স্কুলের মতোই হরিহরপাড়া হাইস্কুলেও শিক্ষকের সঙ্কট। এই স্কুলে ৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। স্কুলে চলছে পরীক্ষা। শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে পরীক্ষা পরিচালনায়। সিটিং এরেঞ্জমেন্ট নিয়েও মাথায় হাত স্কুল কর্তৃপক্ষের। প্রতি বেঞ্চে বসানো হচ্ছে ঠাসাঠাসি করে চারজন পরীক্ষার্থী। হরিহরপাড়া হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, “স্কুলে ৮ জন শিক্ষক চলে যাওয়ায় স্কুল চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষাতেও।”

পরীক্ষা চলছে এভাবেই

 

SSC Case হরিহরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার শাসমল বলেন, “স্কুলে ৫৮ জন শিক্ষক ছিলেন। ৮ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা কমে ৫০ জন হয়েছে। বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা ২৭০০। চাকরিহারাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, তারা মর্মাহত, ভারাক্রান্ত।”

SSC Case সব নিয়েই কার্যত দুশ্চিন্তা আর হতাশা গ্রাস করছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। ভবিষ্যৎ কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন চাকরিহারারা।