উদ্ধার ৩৬৩ টি সিম, গ্রেপ্তার ৫। ডোমকল, রানীনগর, রেজিনগর, বেলডাঙ্গা থানায় এফএইআর করে তদন্ত
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কখনও ব্যাংক থেকে ফোন করছি বলে ভুয়ো পরিচয়ে ওটিপি জেনে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তারপরেই নিমেষে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা। কখনও ডিজিটাল গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। কিংবা অনেকের অজান্তেই তাঁদের নথি দিয়ে তোলা হচ্ছে সিম কার্ড। সেই সিম ব্যবহার করে তোলা বাজি সহ বেআইনি কাজ হচ্ছে অবাধে। অনেক সময় অপরাধ ঘটার পর তদন্তে সেই সিমের মালিকের বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। পরে বেড়িয়ে আসছে, তিনি সেসবের কিছুই জানতেন না। দিন দিন এধরনের সাইবার ক্রাইম Cyber Crime বাড়ছে। শহর থেকে জেলা। এই অপরাধ সর্বত্র। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থাকা মুর্শিদাবাদকে এক্ষেত্রে সফট টার্গেট করছে দুষ্কৃতীরা। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এই সব অপরাধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে জাল সিম কার্ড Fake Sim Card। জাল সিম কার্ডের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালাল মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ। তাতে উদ্ধার হয়েছে ৩৬৩ টি সিম কার্ড। ৭ টি মোবাইল। ১ টি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার। ১ টি মোটর বাইক। বিভিন্ন থানায় ৪ টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চলে।
Drive Against Fake Sim Card by Murshidabad Police গত কয়েক দিন ধরে এই বিষয়ে বিশেষ অভিযান চলে। বেলডাঙ্গার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক উত্তম গড়াই এই বিষয়ে মঙ্গলবার জানান, ঘটনায় পুলিশের জালে এখনও পর্যন্ত ৫ জন। অনেক সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড স্ক্যানার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Drive Against Fake Sim Card by Murshidabad Police ডোমকল থানায় যে এফআইআর হয়েছে তাতে গ্রেফতার হয়েছে মোমিন শেখ, রাকেশ মণ্ডলকে। ঘটনায় তিনটি মোবাইল ফোন, ২১ টি সিম কার্ড ও একটি মোটর বাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। রেজিনগর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে মিলন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ দায়ের হয়েছে রানিনগর থানায়। বেলডাঙ্গা থানার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসিক ইকবাল, বুরহান শেখকে। ধৃতদের কাছ থেকে ৪ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।