Social Media সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য মানসিক অবসাদ আসে?

Published By: Imagine Desk | Published On:

Social Media মোবাইল ফোন, আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে যাওয়া এক যন্ত্রের নাম। আমাদের সব সময়ের  সঙ্গী। কাজে অকাজে ফোন ব্যবহার করতে করতে কখন যেন ওই যন্ত্রটাই চালাতে শুরু করেছে আমাদের বুঝতেই পারিনি। মোবাইল ফোনের ওপর আমরা সবাই-ই কম বেশি নির্ভরশীল, কারোর ক্ষেত্রে সেটা আসক্তির পর্যায়ে। অপ্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত। কেউ সময় কাটাতে আবার কেউ প্রয়োজনের খাতিরে , নিজেদের জীবনযাপন, কাজকর্মসহ ট্রাভেল আপডেট ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারদেরকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করেন কমবেশি সবাই। এটিই এখন সবার অভ্যাস ও শখে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বে গবেষণায় দেখা দিয়েছে যখনই মানুষ ৩০০ মিনিটের বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন, তখনই দেখা দিচ্ছে নানা মানসিক সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হল অবসাদ।কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো কেন মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে? বিশিষ্ট এক মনস্তত্ত্বের মতে প্রতিযোগিতার যুগে সোশ্যাল মিডিয়া আরও বেশি ভোগবিলাসী করে তুলছে। ভার্চুয়াল বন্ধুর দামি গাড়ি বা সাজানো বাড়ির ছবি কখনও জাগাচ্ছে ঈর্ষা। কখনও আবার কাল্পনিক শ্রেষ্ঠত্বের গর্ব থেকে তৈরি হয় স্নায়ুজনিত উত্তেজনা। সোশ্যালে অতিরিক্ত সময় কাটানোয় ৯০ শতাংশ ঘুমের সমস্যায় ভোগেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে কি করছেন, কে কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন, কী পরছেন, কী খাচ্ছেন এসব অনুসরণ করতে গিয়ে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বেড়েছে সাইবার বুলিংয়ের চর্চা। মনরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর প্রভাব হতে পারে সুদূর প্রসারি। এ ক্ষেত্রে নিরাপদে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা, বন্ধু ও অনুসরণকারীদের তালিকা দেখুন ও যাদের অ্যাকাউন্টগুলো আপনাকে নিজের সম্পর্কে খারাপ বোধ করায় তাদেরকে আনফ্রেন্ড বা আনফলো করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে গিয়ে নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা খোঁজা এবং পরিবার প্রিয়জন এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো।