Sleep Cycle Benefits আমরা অনেকেই আছি যারা। রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকি। এবং সকালে দেড়ি করে ঘুম থেকে উঠি। অন্যদিকে আরেকদল রয়েছেন যারা এটার ঠিক উল্টোটা করে। কিন্তু আদেতেও এই দুই রকমের অভ্যাস কতটা ঠিক ?
বিজ্ঞানীদের মতে, যে অংশ সাধারণত মানুষের চেতনা তৈরি করে। যারা রাত জাগেন তাদের মস্তিষ্কের সেই অংশের সঙ্গে সংযোগ কম থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন তাদের মনোযোগ কম থাকে, কোন কিছুতে প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত হয় এবং তাদের ঘুম ঘুম ভাব বেশি থাকে। পাশপাশি যারা তাড়াতাড়ি সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের ঘুম ভাব কম থাকে। তারা নিজেদের কাজগুলোও দ্রুত করেন।
কিন্তু যারা রাত জাগেন তারা রাত বাড়লে একেবারে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সেসময় তাদের ঘুম ভাব কমে যায় ও প্রতিক্রিয়া দ্রুত হয়।
গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ দেরিতে ঘুম ও দেরিতে ওঠা পছন্দ করেন। রাত জাগা আর দেরিতে ওঠা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যে এর কী প্রভাব পড়ে, স্বাভাবিক রুটিনের যেসব কার্যক্রম রয়েছে যেমন সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে বা স্কুলে যাওয়ার জন্য তারা কতটা উপযোগী সেই বিষয়ে আরও গবেষণার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলছেন শরীরের ছন্দের বিপরীতে কাজ করলে তাদের কর্মদক্ষতা ও স্বাস্থ্য দুটোতেই সম্ভবত নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সকালের দিকে তাদের কাজের দক্ষতা বেশ কম থাকতে পারে। পাশাপাশি সমাজে সময়ের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা তাদের জন্য নমনীয় হলে হয়ত তাদের কর্মদক্ষতা ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দুটোই ভিন্ন হতে পারত।
চিকিৎসকেরা তাই বারবার বলছেন সঠিক পরিমাণে ঘুমোতে। অন্তত প্রাপ্ত বয়স্ক যারা রয়েছেন তাদের দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরী। পাশাপাশি ঘুম ঠিকভাবে না পুরন হলে। শারীরিক মানসিক উভয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগ অকারণেই তৈরি হওয়া। পাশপাশি দুর্বলভাব এইসমস্ত বিষয় লক্ষণ যে শরীরের দরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুম।