নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ ঘড়িতে তখন বারোটা কুড়ি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও মালদহে সরকারি সভায়। ওরা ছ’জন ‘মমতা দি’কে’ দেখতে বহরমপুর স্টেডিয়ামে এসেছে। বেলা এগারোটা কুড়ির ট্রেনে চেপে সটান হাজির ওরা। ভাবতা আজিজিয়া হাইমাদ্রাসায় ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া। পোশাকে আচারে স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান বলেই মনে হয়। বুধবারই প্রথম বহরমপুর এসেছে একা একা। তখনও কিছু খায়নি। কিন্তু মাঠে এসে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা না পেয়ে ফিরে যেতেও সময় নেয় নি তাঁরা। কী করবে ওরা? সমস্বরে জানাল, “বাড়ি ফিরে যাব। বাড়ি গিয়েই খাব।”
তবে তাঁদের মাঠে প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠল। মাঠে এসেছিলেন শিক্ষক অভিজিৎ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এরা খুব সাহসী। অথচ চেহারাগুলো দেখে স্কুল ছুট বলে মনে হয় না। ওরা হয়ত শুনেছে ট্রেনে বাসে কিংবা পাড়ায়। সেই উৎসাহই ওদের সাহস করে এখানে নিয়ে এসেছে। তবে ওরা বাড়িতে কিছু না বলেই চলে এসেছে। পুলিশ গেটে আটকাতে পারত।”
খানিক দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আইসিডিএস কর্মী ঝুমুর খাতুন। তিনি বলেন, “আমিও দেখলাম ওদের। পুলিশ ওদের মাঠে না ঢুকতে দিয়ে খোঁজখবর নিয়ে বাড়ি পাঠাতে পারত। কোন ট্রেনে যাবে তাও হয়ত জানে না। এই ভিড়ে বিপদ ঘটতে পারত।”
মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক প্রশ্ন শুনে বললেন, ‘ কে কখন ঢুকে যাচ্ছে আটকানো যাচ্ছে না। শুধু ওরাই নয় অনেকেই এসেছে। আমরা আর কত দিক দেখব বলুন?”