Siddiqullah Chowdhury আরজিকর কাণ্ড নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর Siddiqullah Chowdhury । সোমবার বহরমপুরে Berhampore সংগঠনের কর্মী সভা শেষে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার দাবি- “আর জি করের ঘটনা নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রীর দল দায়ি নয়। এতে কিছু করা যাবে না। যারা আন্দোলন করছে তারা আন্দোলন থেকে ছিটকে গিয়েছে।”সিদ্দিকুল্লার হুংকার- বাংলার মানুষ বলছে- এতে সরকার যুক্ত, দল যুক্ত, বলছেন দিদির পদত্যাগ চাই। – এত বড় স্পর্ধা তাদের! তার অভিযোগ আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পেছনে কেউ মদত দিচ্ছে। আন্দোলনরত ডাক্তারদের কাজে ফিরে আসতে মন্ত্রীর হুংকার- “কে তাদের পেছনে আছে, কে তাদের মদত দিচ্ছে! আমি জানিনা জুনিয়র ডাক্তার কত আছে- তারা বিভিন্ন ভাবে তামাক খাচ্ছেন, বিভিন্ন তলে। আমি সেটা এখন বলব না, কাজে ফিরে আসুন।”
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেছেন, “এটা করানো হচ্ছে। কোনও না কোনও শক্তি আছে, পয়সা পাচ্ছেন তারা। হ্যাঁ নিশ্চিত, টাকা পাচ্ছেন, খাওয়া পাচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, ‘এত লাটসাহেবি কায়দায় মোবাইল টয়লেট আসছে কোথা থেকে? ক্ষমতা আছে একটা ডাক্তারের? কে দিচ্ছে তাদেরকে? মিডিয়ায় মাইলেজ দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু হাইপ্রোফাইল তাকে দুর্নাম বদনাম করতে হবে। গতদিনে সুপ্রিমকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ বসেছিল সেখানে শুনলাম ১৩০ টা দেশে বিচার চেয়েছে। কে করল? আমি জিজ্ঞাসা করছি, কার যোগাযোগ আছে? এম্বাসির যোগাযোগ, সরকার বিরোধীর যোগাযোগ। এটাতে বাংলার মুখ পুড়ছে না।’
ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের লাইভ স্ট্রিমিং করাটা ভণ্ডামি ও বাড়াবাড়ি। এদের পিছনে কোনও পলিটিক্যাল শক্তি আছে। ডাক্তাররা আবার রাজনীতি করে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস নেই? যখন মাইনে পান তখন বিশ্বাস হয়। যখন পদোন্নতি চান তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস হয়।’ সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রীর একটা জায়গা তৈরি হয়েছে হিংসায় ফেটে পড়ছে। আমি বলছি দায়িত্ব নিয়ে কোনও রাজ্য আমাদের থেকে কাজে এগিয়ে নেই। আমার ভুল হতে পারে, মানুষ হিসাবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভুল হতে পারে কিন্তু আজ এই পলিসি তিনি এত নরম। এবার হয়তো পা ধরবেই যে বাবা এবার তোমরা এসো।’