নিজস্ব সংবাদদাতা, লালবাগঃ বেলডাঙার পর লালবাগ, ফের মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতাদের নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে বুধবার লালবাগের নাকুড়তলা ময়দান থেকে দলের বুথ কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে বাছাই বাণ যেমন ছুঁড়লেন তৃণমূলের দিকে তেমনি বিজেপি শাসিত রাজ্যের উদাহরণ টেনে আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তি ও সাজালেন। তৃণমূলের নেতাদের একাংশের নাম ধরে ধরে “চোর” বললেন শুভেন্দু।দাবি করলেন, “শুধু নবগ্রামের কানাই মন্ডল, ডোমকলের জাফিকুল নয়। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের ৮০ শতাংশই ফুরিয়ে যাবে।”তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সংগঠনের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হাতের তালুর মতো তিনি সীমান্তবর্তী এই জেলার তৃণমূল নেতাদের গরিষ্ঠ অংশকে চেনেন। তাই তাঁর এই দাবির পেছনে নিশ্চয় কোনও যুক্তি আছে বলে তাঁর সঙ্গে সহমত ও পোষণ করলেন জেলার দায়িত্বে থাকা বিজেপির নেতাদের একাংশ।
তবে এক গাল হেসে কানাই মন্ডল এদিন পাল্টা বলেন, “ও কি ঠিকা নিয়েছে?” ১৯৭৮ সালে নির্বাচনে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কানাই। তারপর প্রধান হয়ে পরপর দু’বার বিধায়ক হয়েছেন সিপিএমের প্রতীক ব্যবহার করে। ভিন দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন না বলে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়েছিলেন কৃষক সভার প্রাক্তন নেতা। সেটা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা। সেই প্রসঙ্গ টেনে কানাই খোঁচা দিয়ে বলেন, “ কপালে সিঁদুর (গেরুয়া তিলক) পড়ে সেদিনের কথা ভুলে গিয়েছে শুভেন্দু। ওর কথার কী দাম আছে?”তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখে বিজেপির হয়ে ভোট ভিক্ষা করেন শুভেন্দু। বলেন “যেদিন বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন তার প্রথম ক্যবিনেট বৈঠকের পর অন্নপূর্ণা যোজনায় আমরা দু’হাজার করে টাকা দেব। তৃণমূলের পাঁচশো টাকার চক্করে পড়বেন না।” ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকলে কেমনভাবে কাজ করা যায় তা তিনি তখন দেখিয়ে দেবেন বলেও লালবাগের সভা থেকে দাবি করলেন। এটাও দাবি করলেন, ভারতবর্ষকে উচ্চাসনে বসিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাই চলতি বছর চারশো আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শিবির। তবে তাঁর দাবিকে গুরুত্ব দেননি নবগ্রামের বিধায়ক।