রবীন্দ্রনাথ কৈবর্ত,কান্দিঃ ষষ্ঠীর দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় কান্দিতে শুটআউট। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে চলল গুলি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কান্দির হিজল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাওয়ার হোসেন নামে এক যুবকের। স্থানীয় সূত্রের খবর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নার্সিফা খাতুন। যদিও ভোটে পরাজিত হন তিনি তাঁর স্বামীই পাওয়ার হোসেন।
খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয় পাওয়ার হোসেনকে। জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায় কান্দির অন্তর্গত নতুনগ্রামে বাড়ির কাছেই একটি মাচায় বসে থাকার সময় কিছু দুষ্কৃতি গুলি করে পাওয়ার হোসেনকে। রক্তাক্ত পাওয়ার হোসেনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পঞ্চায়েতে নির্বাচনের প্রার্থী নার্সিফা খাতুনের দাবি রাজনৈতিক বচসার কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়দের দাবি পুরনো বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা।
এই খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিল ওই ব্যক্তি। যদিও কংগ্রেস তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ। মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি সফিউল আলম খান, জানিয়েছেন, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দের কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সূত্রের খবর তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়েছিলেন নিহত পাওয়ারের স্ত্রী। কান্দি এলাকায় নির্দলদের অক্সিজেন দিচ্ছিলেন বিধায়ক হুমায়ূন কবির। ফলে এই ঘটনায় দানা বাঁধছে রাজনৈতিক রহস্য। তবে শুক্রবার ভরা সন্ধ্যায় যারা পাওয়ার হোসেনকে খুন করল তাঁরা এখনও অধরাই। স্বামীকে হারিয়ে শোকে পাথর স্ত্রী চাইছেন বিচার। কী কারণে খুন হতে হল ওই ব্যক্তিকে তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।