ইনসাফ যাত্রী সেলিমের খোঁচা কংগ্রেসকে, ক্ষুব্ধ অধীর

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ মাস ছয়েকও হয়নি। রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করেছে বাম ও কংগ্রেস। সেই রানিনগরেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন সিপিএম রাজ‍্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বাম যুব সংগঠনের ডাকে আয়োজিত ইনসাফ যাত্রা উপলক্ষে নবীপুরে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সেলিম বলেন, “আমরা যখন চোর ধরো জেল ভরোর কথা বলছি তখন চোর কংগ্রেসের পা ধরে বলছে দাদা আমাদের বাঁচাও।” তিনি আরও বলেন, “ভোরের অন্ধকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেশাল প্লেনে রাহুল গান্ধীর ঘরে চলে গেলেন। ২০১১ সালে কংগ্রেস সমর্থন না করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসতেন না।”
পরের বছর লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। বিজেপি বিরোধী সেই জোটে তৃণমূলের সঙ্গে যেমন কংগ্রেস আছে তেমনি সিপিএম সহ অন‍্য বামদল ও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী। সেপ্টেম্বরের এক ও দু তারিখ মুম্বাইতে ছিল সেই জোটের প্রথম বৈঠক। তার ঠিক আগেই ভোরবেলা রাহুল গান্ধীর বাস ভবনে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানিনগরে এদিন সেই বৈঠকের কথাই উঠে এসেছে সেলিমের গলায়‌।
আবার এই রানিনগরেই স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। জল গড়িয়েছিল আদালতে। রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৪২। সাংসদ আবু তাহের খান অসুস্থ থাকায় আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১ এ। সেখানেই ভোটাভুটিতে বাম-কংগ্রেস জোট পায় ২১টি আর তৃণমূল পায় ২০টি। কিন্তু কংগ্রেসের তিন জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের ভোট দাঁড়ায় ১৮তে। স্বাভাবিকভাবেই স্থায়ী সমিতির দখল নেয় তৃণমূল। নবীপুরে ইনসাফ যাত্রার সভায় এই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে প্রাথমিকভাবে আক্রমণ করেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জামাল হোসেন। সেই সুরেই এদিন কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন সেলিম। মঞ্চে তখন উপস্থিত রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের কুদ্দুস আলীও। তবে সেলিমের কথায় বিরক্তি ঝড়ে পরে অধীরের মুখে। তিনি বলেন, “ আমরা যা বোঝার বুঝতে পেরেছি। রাহুল গান্ধীর কাছে কেউ যদি পা ধরতে যায় তাহলে রাহুল গান্ধী বলবে পা ধরতে যেও না? আমরা সেটা বলতে পারি না।” তবে দুই জোট সঙ্গীর মধ‍্যে এমন বাক‍্য বিনিময়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের। তৃণমূল বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “ ইন্ডিয়া জোটের পায়োনিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তাড়াতে অখিলেশ, তেজস্বীর পাশাপাশি নীতিশকেও দরকার। সিপিএম ইন্ডিয়া জোটের ফর্মুলা মানছেন না। আর অধীর বাবুর লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে জিতে যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে নাস্তা করতে যাওয়া।”