বিজেপি ও তৃণমূলকে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ সেলিমের

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বিশ শতকের গোড়ায় লাল ঝান্ডাকে শেষ করতে বিজেপিকে নিয়ে আসার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন বলছেন আর এস এসে তাঁর এলার্জি। সোমবার বহরমপুরে সিপিআইএম কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তবে তাঁর এই “দ্বিচারিতা” প্রথম যিনি উপলব্ধি করেছিলেন তিনি জ‍্যোতী বসু। সেলিম বলেন, “জ্যোতি বসু বলেছিলেন সবচেয়ে বড় ক্রাইম মমতা যেটা করেছেন, সেটা হল বিজেপিকে ডেকে নিয়ে আসা।” কেন ডেকে এনেছিলেন? সিপিএমের রাজ‍্য সম্পাদক বলেন,”হিন্দু মুসলমান করবেন বলে। অভিষেকের রাজনীতি আর বিজেপি আরএসএসের রাজনীতি একই রাজনীতি। যারা বিজেপি তৃণমূলের ঝামেলাকে ‘হিন্দু মুসলমান করতে চাইবে’। এটাই বিভাজনের রাজনীতি বলে যেটা বিজেপি তৃণমূল করতে চাইছে। তৃণমূলের মুসলমান সমর্থকদের বলব, অভিষেকের আরএসএস মার্কা রাজনীতির মধ্যে যাবেন না।” বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত বোঝাতে তিনি সিএএ প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, “সিএএ করে আসলে বলতে চায় বাংলাভাষী মুসলমান মানুষ, বাংলাদেশি। ২০১৯ পর্যন্ত আমি এমপি ছিলাম, আমি আটকে ছিলাম। ২০১৯ এর পরে এই আইন পাশ হল। তৃণমূল দল এটা আটকাবে? যখন আইন পাশ হল তখন তৃণমূলের মেম্বাররা বাথরুমে চলে গেল, ভোটের মধ্যে বিরোধীতা করল না। এটাই তো গটআপ।” এরপরে বলেন, “এখন এই আইন নিয়ে আর ভয় দেখানো যাবে না। বিজেপিকেও নতুন কোনও পন্থা ভাবতে হবে, কারণ আমরা বলেছি, লালঝান্ডা থাকতে বিজেপির কারও হিম্মত নেই, একজনকেও কাঁটাতারের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। যাঁরা রিক্সা টানছে তাঁদের জন্য এদেশে আইন তৈরি হয় না। যেমন মতুয়াদের জন্য কোনও আইন তৈরি হয়নি। শান্তনু ঠাকুররা ভুলভাল বুঝিয়েছে।” তিনি বলেন, “এদেশে এতবছর ধরে সেনসাস হয়ে আসছে কিন্তু অমিত শাহ মোদীরা ২০২১ এর সেনসাস এখনও করল না ২০২৩ হয়ে গেল। তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করছে না। যারা জনগণনা করল না তারা ঠিক করবে কাকে কোথায় পাঠাবে?” উল্টে দুয়ারে সরকার নাম করে মমতা সরকার বিজেপির জন্য এনপিআর করে দিয়েছে। সেলিম বলেন, “দুয়ারে সরকার নাথিং বাট এনপিআর। সেখানে সবার ডকুমেন্ট নিয়েছে। সেই জন্য মমতাকে চোদ্দতলায় এসে ধন্যবাদ দিয়ে গেছে অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর বেনামে তৃণমূলের সরকার করে দিয়েছে।”