তীব্র দাবদহে কাহিল হয়ে পড়েছে গবাদি পশুরাও। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে জেলার সমস্ত গবাদি পশু। মুর্শিদাবাদ জেলা। চাষাবাদের জেলা। গ্রামীণ এলাকায় বহু মানুষের বাড়িতে গরু, মহিষ, ছাগল পালিত হয়। পশু পালন তাঁদের রোজগারেরও উপায়। কিন্তু এই তীব্র গরমে মানুষের মতন নাজেহাল অবস্থা তাদেরও। ফলে চিন্তায় এই গবাদি পশু পালনকারীরাও।
নবগ্রামের গবাদি পশু পালনকারী অমিত ঘোষ তিনি জানান, ‘গরমে গরু বা ছাগল কিছুই খেতে চাইনা। গোয়াল ঘরে রাখছি। ফ্যানের নিচে তাও ধোঁকাচ্ছে। সরবত করে খাওয়াচ্ছি। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এই করে আমার ৫ টা গরু মাড়া গেল’। মানুষের মতন এদেরও রোজ স্নান করানো হয়। রাখা হয় ফ্যানের তলায়। তাও গরমে ধুঁকোচ্ছে।
এই তীব্র গরমে কী কী সমস্যা দেখা যায় গরুর ? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন পশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিতাভ দাস। তিনি জানান, “সচারচর গরুদের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রী থাকে। তার চাইতে বেড়ে গেলেই অসুস্থ হয়ে যায় তারা। আর এই গরমে এই সমস্যা আরও দেখা যায়। এই সময় দেশি গরু আমাদের আবহাওয়া সহ্য করে নিতে পারে। কিন্ত কিছু বাইরের ব্রিড তারা নিতে পারেনা। হয়ত দুধ বেশি দেয়। দেখতে সুন্দর কিন্তু কোনভাবেই আমাদের গরম নিতে পারেনা তারা”।
স্বস্তির বৃষ্টি মুক্তি দিলেও গরমে গৃহপালিত গরু, ছাগল পালনকারীদের কিছু কিছু সতর্কতা মেনে চলতেই হবে। এই বিষয়ে পশু চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ দাস জানান, “প্রথমত গোয়াল ঘড়ে হাওয়া ঠিক মতন বেরোতে ঢুকতে পারে। তার ব্যবস্থা করতে হবে। ফ্যান অবশ্যয় লাগবে। পাশপাশি প্রতিদিন ১০ লিটার জলে ৫ কেজি গুড় মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। আর তিনবার স্নান করাতে হবে। তাহলেই সুস্থ থাকবে তারা”।
যারা গবাদি পশু হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারেন না। তাদের জন্য গ্রামে গ্রামে প্রতি মাসে ২৪টি করে সরকারি ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে সহজেই এই ক্যাম্পে গবাদি পশুদের নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো যায়।