মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদে ব্যাপক বিপাকে দুধ চাষিরা। দুধ উৎপাদন করে দাম না মেলার অভিযোগের সঙ্গে জুড়ল আরও এক অভিযোগ। দ্য ভাগীরথী কো-অপারেটিভ মিল্ক ইউনিয়ন সমবায় সমিতিগুলিকে দুধের কোটা বেঁধে দেওয়ায় ছরম বিপাকে পড়েছেন দুগ্ধ চাষিরা। এছাড়াও তাঁদের অভিযোগ চাষিদের দুধ কিছনে না ভাগীরথী কো-অপারেটিভ মিল্ক ইউনিয়ন।
রাস্তায় দুধ ফেলে বিক্ষোভে সামিল মুর্শিদাবাদের দুগ্ধ চাষিদের একাংশ। মঙ্গলবার বহরমপুর থানার সাটুই বাজারে সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। এরপর তাঁরা রাস্তা অবরোধও করেন। তাঁদের অভিযোগ চাষিদের দুধ কিনছে না ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন, নানা অছিলায় ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের বিভিন্ন সমবায়ের সদস্য দুগ্ধ চাষিরা।
দুগ্ধ চাষি প্রভাত ঘোষ জানান, ‘একেই সব জিনিষের দাম বেড়ে যাচ্ছে, তার ওপর আমরা যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন করছি। তার বিনিময়ে কিছুই আমরা এখানে বিক্রি করতে পারছি না। এইভাবে চললে আমাদের সংসারের কি হবে। ছোট ছোট বাচ্চারা রয়েছে। তাদের বড় করবো কীভাবে। এই দুশ্চিন্তায় ভুগছি রোজ আমরা।’
এর আগে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্ব ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন বাঁচাতে ভাগীরথী অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমাঁধ পরিস্থিতি হয়। যদিও এনিয়ে জেলা শাসক বা ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নে একসময় দুগ্ধ উৎপাদনে রাজ্যে প্রথম ছিল। ভাগীরথীর ঘি, পনির, দই সহ দুগ্ধজাত দ্রব্যের বাজারে চাহিদাও তুঙ্গে উঠেছিল। অধীর চৌধুরীর দাবি, ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন যখন তাঁদের হাতে ছিল তখন দুধের দৈনিক উৎপাদন ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার লিটার। চাষিরা দুর্গা পুজোয় মোটা টাকার বোনাস পেত। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও ভাগীরথীর আওতায় সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল। দুধ তৈরির সরঞ্জাম সহ সমিতিগুলিকে নিজস্ব ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই সমিতিই রুগ্ন অবস্থায় ধুঁকছে।