সন্দেশখালি কান্ডে বিস্ফোরক Adhir Chowdhury

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ সন্দেশখালি কান্ডে মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। নন্দীগ্রাম দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সন্দেশখালি নন্দীগ্রাম হতে চলেছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন বহরমপুরের সাংসদ । লোকসভার শেষ অধিবেশন সেরে সোমবার জেলা কংগ্রেস (congress) কার্যালয়ে বসে এদিন তিনি এই দাবি করেন। বলেন, “সন্দেশখালিতে বাড়ির মা-বোনদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হচ্ছে। জমি কেড়ে নেওয়া হয়। এখানে দলের বড় বড় নেতাদের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য জমি কেড়ে নেওয়া হয় জলের দরে।” এরপরেই তিনি বলেন, ” সন্দেশখালি নিয়ে লজ্জা হচ্ছে। কোথায় রয়েছি আমরা বাংলায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের উদাসীনতা না থাকলে সন্দেশখালি এই জায়গায় পৌঁছতে পারত না।”

সময় যত গড়াচ্ছে সন্দেশখালি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। রবিবার সেখানকার CPIM-র প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার আগের দিন শনিবার BJP-র বিকাশ সিংহ ও TMC-র উত্তম সর্দারকে পুলিশ  গ্রেপ্তার করেছিল। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পথে নেমেছে BJP ও CPM।

আরও পড়ুনঃ Sandesh Khali, আঁচ লাগলো Murshidabad জেলাতেও

রবিবার দলের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে CPIM। ওইদিন তাঁদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। ওই দিন সন্ধ্যাতেও বিজেপি থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার পথে নামল CONGও। বহরমপুরে মিছিল করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় তারা। সোমবার দুপুরে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে পা মেলান বহরমপুর টাউন ও ব্লক কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানায়  ওয়েলিংটন স্কোয়ারে মিলিত হয়ে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে মঙ্গলবার।

রেশন দুর্নীতি কান্ডে জড়িত সন্দেহে উত্তর ২৪ পরগণায়( North 24 pargona) ওই এলাকা তল্লাশি করতে গিয়ে ৫ জানুয়ারি এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের দলবলের হাতে নিগৃহিত হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকে ধিকে ধিকে জ্বলছিল । গত তিন চারদিন ধরে সেই এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি চেহারা নেয়।শান্তি বজায় রাখতে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন রাজ্যপাল। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি যেতে চাইলেও তাঁর অনুমোদন মেলেনি। একইভাবে ঘুরপথে এলাকায় পৌঁছতে গেলে বাধার মুখে পরেন সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। সোমবারই রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়েছে সেখানে।