নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ সময় যত গড়াচ্ছে Sandesh Khali নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। রবিবার সেখানকার CPIM-র প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার আগের দিন শনিবার BJP-র বিকাশ সিংহ ও TMC-র উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পথে নেমেছে BJP ও CPM।
রবিবার দলের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে CPIM। ওইদিন তাঁদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। ওই দিন সন্ধ্যাতেও বিজেপি থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার পথে নামল CONGও। বহরমপুরে মিছিল করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় তারা। সোমবার দুপুরে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে পা মেলান বহরমপুর টাউন ও ব্লক কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানায় অধীর চৌধুরীর নির্দেশে ওয়েলিংটন স্কোয়ারে মিলিত হয়ে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে মঙ্গলবার।
রেশন দুর্নীতি কান্ডে জড়িত সন্দেহে উত্তর ২৪ পরগণায়( North 24 pargona) ওই এলাকা তল্লাশি করতে গিয়ে ৫ জানুয়ারি এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের দলবলের হাতে নিগৃহিত হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকে ধিকে ধিকে জ্বলছিল । গত তিন চারদিন ধরে সেই এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি চেহারা নেয়।শান্তি বজায় রাখতে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন রাজ্যপাল। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি যেতে চাইলেও তাঁর অনুমোদন মেলেনি। একইভাবে ঘুরপথে এলাকায় পৌঁছতে গেলে বাধার মুখে পরেন সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। সোমবারই রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়েছে সেখানে।
এরই মধ্যে শাসকদল তৃণমূলও সেখানে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 pargana) দুই বিধায়ক রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী যাবেন সেখানে।
আরও পড়ুনঃ Lalgola সীমান্তে তোড়জোড় যোগাযোগের
এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বকে লাগাতার আক্রমণ করছে বিজেপি। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্মৃতি ইরানী ( Smriti Irani) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও দলকে তুলোধনা করেছেন। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার রাজনীতি নিয়ে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের সক্রিয়তাকে রাজনীতির চাল বলেই দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।