নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নিয়ে একজন সক্রিয় কর্মীর টিয়ার গ্যাসের পার্শব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বাম নেতৃত্ব। আবার আইন ভাঙার অপরাধে ২০ জন সক্রিয় বাম নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ঠুকেছে পুলিশ। যদিও মঙ্গলবার সবাইকে পুলিশের হেফাজতে না পাঠিয়ে ১২ জনকে দু’দিনের জেল হেফাজতের সাজা দিয়েছে বহরমপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। বাকি তিন জনকে অবশ্য দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশের এই পদক্ষেপকে এক কথায় নিন্দা ও দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, যেখানে পুলিশের সক্রিয় হওয়ার দরকার সেখানে নিষ্ক্রিয় আর যেখানে নিষ্ক্রিয় হলেও হয় সেখানে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে বুধবার এই দাবি করলেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, ” আইন অমান্য একটি সাধারণ কর্মসূচির মধ্যে পরে এখানে পুলিশের সক্রিয় হওয়ার কারণ ছিল না। এখানে কেউ থানা ভাঙচুর করেনি, এসপি অফিসেও হামলা করে নি। তবু পুলিশ সক্রিয় হলো। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি এই ঘটনার নিন্দা করছি।”
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সন্দেশখালি বাংলার সভ্যতার কলঙ্ক। ঘরের মা বোনদের ডেকে পাঠানো হয়। স্বামী কাঁদে, ছেলে কাঁদে। গোটা গ্রামের তৃণমূলের সম্রাটদের বাঁদি। এইরকম নৃশংসতার জবাব দিতে হবে।” বলতে থাকেন, ” মা মাটির সরকার তৃণমূলের নেতাদের ঠেকে গভীর রাতে যেতে বাধ্য করে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আপনি নিজে একজন মহিলা আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। কিসের ক্ষতিপূরণ দেবেন? আপনার কোনও বক্তব্য নেই কেন? বলুন সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। কোন নিষ্ঠুর বাংলায় আমরা বাস করছি। যেখানে মা বোনদের অত্যাচারের নির্দেশ দেয় সেই রাজ্য কখনও মা মাটির মানুষের সরকার হতে পারে না।” আদালতের ১৪৪ ধারা বাতিল প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন বহরমপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, ” বাংলাকে বিষাক্ত করে তুলেছেন। আপনি ১৪৪ ধারা জারি করে কখনই সত্যকে ধামা চাপা দিতে পারবেন না।”