মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ শোকজ হয়েছে, জবাব মেলেনি। সামসেরগঞ্জে অস্বস্তি তৃণমূলে কংগ্রেস। ধূলিয়ানে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে সামনে আসে গোষ্ঠীকোন্দল। তার জেরেই তার জেরেই শোকজ করা হয় সামসেরগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সহিদুল ইসলাম , ধূলিয়ান টাউন তৃণমূল সভাপতি মেহবুব আলম, দুই কাউন্সিলার সাজাহান মহলদার ও মোস্তাক আজাদকে। শোকজ করেন স্বয়ং জেলা সভাপতি, সাংসদ খলিলুর রহমান। ৩১ শে মার্চ তাদের শোকজ করা হয় এই নেতাদের । ঘোষণা করা হয় উত্তর সন্তোষজনক না হলে কঠোরতম শাস্তির মুখোমুখি হবেন দুই নেতৃত্ব।
খলিলুরের শোকজের যদিও উত্তর মেলেনি। প্রশ উঠছে, শোকজের সাত দিন পেড়োলে কি তারা শাস্তির মুখে পড়বেন ? নাকি ফের সময় বাড়ানো হবে? যদিও তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব, জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই এই দুই নেতার বিদ্রোহ ভালোভাবে নিচ্ছেন না।
সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিনুল ইসলামের অনুগামী দুই নেতা মেহবুব আলম, সাহিদুল ইসলাম, শোকজের পর যতটাই মুখর ছিলেন এখন কিছুটা সুর নরম করেছেন। সেটা কি কোন কৌশলগত কারনে? নাকি বড় ধরনের প্রতিবাদের ক্ষেত্র তৈরি করছেন? যা নিয়েও জল্পনা প্রবল। সাহিদুল ইসলাম জানান, মহকুমা নেতৃত্বের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে শোকজের উত্তর দেওয়া হবে, পদক্ষেপ ঠিক হবে ।
যদিও ধূলিয়ানের টাউন কংগ্রেসের সভাপতি বাবলু মণ্ডলের কটাক্ষ, ‘শোকজ’ স্রেফ নাটক । খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে নেতাদের বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস মেনে নেবে না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাই মন্ডল।