মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ বাবার মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। সংসার চালাতে মায়ের সঙ্গে সকাল সন্ধ্যা বিড়ি বাঁধতে হয়। তার মাঝেই নিয়মিত পড়াশোনা করে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে চমকপ্রদ রেজাল্ট। সকলের নজর কাড়লেন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের দিঘড়ি হাইস্কুলের ছাত্রী রেজবিনা খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৭। যদিও চমকপ্রদ সাফল্যের পরও অর্থনৈতিক সংকটে রেজবিনার পরিবার। সংসারের একমাত্র রোজগার করা সদস্য রেজবিনা খাতুন। মায়ের সাথে বিড়ি বেঁধে কোনও রকমে চলে সংসার। তারই মাঝে সময় বের করে পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে এই ছাত্রী।
ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবির প্লটের সাথে যেন মিলে যায় সামসেরগঞ্জের এই ছাত্রীর জীবন। নীতার মতো রেজবিনার পরিবারেও রয়েছে দুই ভাই বোন। সংসারের দায়িত্ব একা কাঁধে সামলান সামসেরগঞ্জের উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী ছাত্রী রেজবিনা খাতুন। আক্ষরিক অর্থেই সে একজন ‘মেঘে ঢাকা তারা’।
রেজবিনার মা বিড়ি শ্রমিক। দুই বোন এক ভাই। বোনদের মধ্যে বড় রেজবিনা। পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে রেজবিনা খাতুন। অর্থনৈতিক সংকট, বাবার মৃত্যু এবং পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন সমস্যাকে দূরে ঠেলে আগামীদিনে আরও সামনে দিকে এগিয়ে যেতে চায় সে।