Samserganj Erosion সামশেরগঞ্জে গঙ্গার ভাঙন রোধে চলছে বালির বস্তা দিয়ে কাজ। তবে সেই কাজ ঘিরেই এবার ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ উঠেছে, বালির বস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বালি নেই। যে পরিমাণ বালি থাকার কথা, তার অর্ধেক নিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। এর জেরে শনিবার দেবীদাসপুরে বালি বোঝাই নৌকা আটকে দেন গ্রামবাসীরা।
Samserganj Erosion বিগত কয়েক বছরের নদী ভাঙনে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের Samserganj চাচন্ড, লোহরপুর, সিকদারপুর, দেবীদাসপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বহু জমি ও বাড়ি গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভাঙন রোধে নদী পাড় বাধানোর কাজ শুরু হবে। সেই কাজ শুরু হলেও, বালির বস্তায় পর্যাপ্ত বালি না থাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
মিরাজ সেখ, স্থানীয় বাসিন্দা, বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। আমাদের জমি, বাড়ি সবই তো চলে যাচ্ছে গঙ্গার গর্ভে।” Samserganj Erosion শনিবার তিনপাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীদাসপুরে নৌকায় করে বালির বস্তা ফেলার কাজ চলছিল। সেই সময় গ্রামবাসীদের নজরে আসে বালির বস্তায় বালি কম। এর প্রতিবাদে নৌকা আটকে দেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, “এইভাবে কাজ হলে আদৌ ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে তো?”
গ্রামবাসীদের বাধায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীরা নৌকা ছেড়ে পালিয়ে যান। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যদি বালির বস্তায় যথাযথ বালি না থাকে তবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে না। আমিরুল ইসলাম, আরেক স্থানীয় বাসিন্দা, বলেন, “বালির বস্তায় বালি না থাকলে কিভাবে ভাঙন রোধ হবে? আমাদের ক্ষোভ যথার্থ।”
Samserganj Erosion উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। এই পরিস্থিতিতে বালির বস্তায় কম বালি নিয়ে কাজ চালালে, ভাঙন রোধের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। ভাঙন প্রতিরোধের কাজের বাস্তবায়নে যেন কোনও খামতি না থাকে, সেই দাবি তুলেছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।