Samserganj Erosion দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঘটল বিপদ। ঘুমন্ত এলাকা জেগে উঠল নদী ভাঙনের ভয়াবহতায়। একের পর এক বাড়ি তলিয়ে গেল গঙ্গার জলে। গঙ্গা ভাঙনের অভিশাপে আবারও ভুক্তভোগী মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের উত্তর চাচন্ড। লোকজন ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শুরু হয় ভাঙন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয় ভাঙন। তলিয়ে গিয়েছে দুটি বাড়ি। আরও একাধিক বাড়ি গঙ্গা পাড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে। আতঙ্ক আর হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে উত্তর চাচণ্ড জুড়ে।

Samserganj Erosion শুধু বাড়ি নয়, নদী গর্ভে বিলীন বড় বড় গাছ। হঠাৎ করে ভাঙনের ফলে ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । ভেসে গিয়েছে বেশ কয়েক’টি গবাদি পশু । ভাঙনের টের পেয়ে কোনরকমে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘর ছেড়ে প্রাণে বেঁচেছে ১০ টি পরিবার। নদী পাড় সংলগ্ন কালী মন্দিরেও ধরেছে ফাটল। ভাঙনের আতঙ্কে আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই।

Samserganj Erosion উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন থেকেই সামশেরগঞ্জের বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । বাঁধে ফাটল ধরে জল ঢোকে গ্রামগুলিতে । এরই মাঝে ভাঙন ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । মাধুরী সরকার, পলাশ সিংহ, লোহারাম সিংহ, অরিজিৎ বর্মন, লক্ষণ বর্মন-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভোররাতে তলিয়ে গিয়েছে । ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কয়েক’শো পরিবার । অবিলম্বে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বাপি সিংহ জানান, একাধিক বাড়ি তলিয়ে গেছে। নদীর ধারে পলাশ সিংহের বাড়ি তলিয়ে গেছে, একই অবস্থা লোহারাম, সুধাংশু মোড়লের বাড়িও গঙ্গা গর্ভে। দিশেহারা হয়ে খোলা আকাশের নীচে ঠাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

Samserganj Erosion মঙ্গলবার সকালে ভাঙন এলাকায় পরিদর্শনে যান সামেরগঞ্জের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ। এলাকা ঘুরে দেখেন বিধায়ক আমিরুল ইসলামও। জরুরী ভিত্তিতে বাসিন্দাদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গঙ্গার জলস্তর যেন উপচে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য মাটির বস্তা দিয়ে বাঁধের ধার উচু করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়েছিল। ভাঙনের কোন লক্ষণ দেখা দেয় নি। কিন্তু সোমবার রাত থেকে ভাঙন শুরু হয়। সেচ দপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের কাজের দাবি জানানো হয়েছে।