Samserganj Erosion উৎসবের আবহের মধ্যেই ফের ভয়ঙ্কর নদী ভাঙন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে । পঞ্চমীর সকালে ভয়াবহ গঙ্গা Ganges ভাঙ্গনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল পরপর প্রায় ১০টি বাড়ি। চোখের নিমেষে গঙ্গা বক্ষে বিলীন হল একের পর এক বাড়ি । চোখের জল ভাঙ্গন দুর্গতদের। অহসায় পরিবার গুলির ঠাঁই হয়েছে কোন আত্মীয়দের বাড়ি অথবা রাস্তায়। গত তিন দিন ধরে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জের লোহরপুর ও উত্তর চাচন্ডের সীমান্ত এলাকায়। গত কয়েক দিনে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০টি বাড়ি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ফের শুরু হয় ভয়াল ভাঙ্গন। পরিবারের লোকজন কোন জিনিসপত্র সরানোর আগেই চোখের সামনে গঙ্গায় বিলিন হয়ে যায় প্রায় ১০টি বাড়ি।
Samserganj Erosion ভয়াল গঙ্গা গিলে খাচ্ছে একের পর বাড়ি থেকে গাছপালা বসত ভিটে।
Samserganj Erosion আতঙ্কে অনেকেই নিজে থেকেই আগেবাগে নিজেদের স্বাদের ঘর বাড়ি ভেঙে অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন । নদী পারে ভাঙ্গনের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই দিনের পর দিন কোন না কোন পরিবার ঘর ছাড়া হচ্ছেন সামসেরগঞ্জে। এর প্রতিরোধ কবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
Samserganj Erosion সোমবার ভাঙন কবলিত সামসেরগঞ্জে যান প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, “ মুখ্যমন্ত্রী ডেপুটেশন নেবেন না, সময়ও দেবেন না! তাই ভাঙন প্রতিরোধে এবার খোলা আকাশেই চিঠি দেব, রাজপালকেও দেব”, সামবহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী Adhir Ranjan Chowdhury গলায় । ভাঙন প্রতিরোধ নিয়ে ফের দুষেছেন রাজ্য সরকারকেই।
Samserganj Erosion সোমবার বিকেলে সামসেরগঞ্জের শিকদারপুর গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় কংগ্রেস Indian National Congress নেতা কর্মীদের নিয়ে যান ভাঙন দেখতে। ভাঙনের ভয়াবহতার কথা শোনেন অসহায় বাসিন্দাদের মুখ থেকেই। কংগ্রেস নেতাকে দেখে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা বলেন ভাঙন কবলিতরা। রাজ্য থেকে কেন্দ্র- দুই সরকারের বিরুদ্ধে ভাঙন প্রতিরোধ নিয়ে গাফিলতির প্রশ্ন তোলেন অধীর। ভাঙন এলাকার জন্য বাজেটে স্পেশ্যাল ফান্ডের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করেন অধীর । অধীর চৌধুরী বলেন, “এই সরকার গঙ্গার পাড় ভাঙন সমস্যার সমাধান করতে পারছে না, এমনকি ঘাটালের বন্যা সমস্যাও মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।”যদিও অধীর চৌধুরীর ভাঙন পরিদর্শনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। সামসেরগঞ্জে তৃণমূলের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম এদিন বলেন, উনি আগেও ভাঙন দেখতে এসেছেন। ফোন করে নদীপাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। কোন কাজই হয় নি। উনি নাটক করছেন।