Samserganj Case Verdict মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে বাবা- ছেলে খুনের ঘটনায় ১৩ জন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সাজা ঘোষণা করল জঙ্গিপুর আদালত। সামসেরগঞ্জে হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের খুনের ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে জঙ্গিপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত এজলাস, প্রথম আদালতে ( Additional District & Sessions Judge Ejlash, First Court) বিচারক অমিতাভ মুখার্জির এজলাসে হয় সাজা ঘোষণা। আজ মঙ্গলবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে ( Jangipur Sub division Court ) পেশ করা হয় ধৃত ১৩ জনকে। ১৩ জনের সাজা ঘোষণা করল আদালত।
আরও পড়ুন- Samserganj Case হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১৩
Samserganj Case Verdict সামসেরগঞ্জে বাবা- ছেলে খুনের ঘটনায় আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ
Samserganj Case Verdict দোষীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ -এর ২ ধারায় সংবদ্ধভাবে খুন বা মব লিঞ্চিং অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১০-এর ২ ধারায় ডাকাতি, ৩৩১-এর ৫ ধারায় অন্যের বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ, ১৯১-এর ৩ ধারায় মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা করা, ১১৫-র ২ ধারায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত, ১২৬-এর ২ ধারায় জোর করে আটকে রাখা, ৩৩২-এর A ধারায় খুনের জন্য অন্যের বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে দলবদ্ধ ভাবে অপরাধের অভিযোগ।
আরও পড়ুন- Samserganj ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট, কী চায় জাফরাবাদের দাস পরিবার?
Samserganj Case Verdict উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ। সামসেরগঞ্জ থানার জাফরাবাদে ১২ ই এপ্রিল বাড়ি থেকে টেনে বের করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ হয় বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে। নৃশংস এই ঘটনার তদন্তে Special Investigation Team সিট গঠন করে পুলিশ। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। জুন মাসের ৬ তারিখ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয় সওয়াল জবাব। দিলদার নাদাব সহ ১৩ জনের নামে আগেই চার্জশিট জমা করেছিল পুলিশ। সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে আদলত। মঙ্গলবার হল চরম সাজা ঘোষণা।
Samserganj Case Verdict দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:
১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)। এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।













