Samserganj এখনও টাটকা সেদিনের ক্ষত। খাঁ খাঁ করা বাড়িটায় আপনজন হারানোর আর্তনাদ। চোখের জল শুঁকিয়ে পাথর হয়েছে মন। সদ্য স্বামীহারা বধূ, বৃদ্ধ শাশুড়ি কোলের সন্তানদের আগলে। নিরাপত্তায় বাড়ির সামনে বসেছে সিসি ক্যামেরা। দেওয়ালে জরুরী নম্বর লেখা থানার পোস্টার। সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদের দাস পরিবার কী চাইছে এখন? পিতা-পুত্র জোড়া খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গত ৬ ই জুন জঙ্গিপুর সিজেএম কোর্টে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিট পেশ হওয়ার পর কী বলছে নিহত হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের পরিবার?
Samserganj নিহত চন্দন দাসের স্ত্রী পিংকি দাস বলছেন, “আমরা দোষীদের শাস্তি চাইছি। পুলিশ মাঝে মধ্যে আসে। খোঁজ নেয়। আমরা এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প চাইছি”। নিহত হরগোবিন্দ দাসের স্ত্রী পারুল দাস বলছেন, ” যারা ধরা পড়েছে আমরা চাইছি তাদের যেন ফাঁসি হয়”। সংসারের হাল ধরেছেন শাশুড়ি ও বউমা। দিন গুজরান করছেন কোনরকমে। তারা চাইছেন অভিযুক্তদের ফাঁসি হোক। যদিও রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি দাস পরিবারের। ঘটনার চার ঘণ্টা পর পুলিশ খবর পাওয়া সত্ত্বেও না আসার ঘটনা এখনও দাস পরিবারকে ক্ষুব্ধ করে রেখেছে। এখনও রাজ্য সরকার ঘোষিত অনুদান নিতে অস্বীকার করছে দাস পরিবার। উল্লেখ্য, গত ১২ ই এপ্রিল নিজের বাড়িতে নিহত হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই ঘটনার চার্জশিটে বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ১৩ জনের নামে অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকেই জেল কাস্টডিতে রয়েছেন। সুত্রের খবর, চার্জশিটে খুন, অস্ত্র, আইন- সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।