Salar Incident ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত সালার। সালারের মহাজন পট্টি এলাকায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দুজনের নামে সালার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ীদের দাবি বুধবার দুপুরে এলাকায় তৃণমূলের বিজয় মিছিল হয়, সেই কারণে তার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দোকানের চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়।
আহত ব্যবসায়ী গোবিন্দ দে জানান, “আমি দোকানে বসে ছিলাম। বুধবার আমার দোকানের সামনে দিয়ে। তৃণমূলের বিজয় মিছিল যাচ্ছিল। সেই সময় তৃণমূলের ওরা এসে বলে আট হাজার টাকা চাঁদা লাগবে। আর টাকা না দিলে পাতা লাগবে এক হাজার। কোনটাই আমি দিতে পারবো না বললাম। বৃহস্পতিবার আমার চেয়ার ভেঙে দিয়েছে কিছু বলিনি”।
এই ঘটনার পর দিন শুক্রবার দুপুরে দোকানে বাস নিয়ে শিশির হাজরা ও ছোটন মদক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে ব্যবসায়ী গোবিন্দ চন্দ্র দের। সেই ছবিও ভাইরাল হয়। আহত ব্যবসায়ী গোবিন্দ দে তিনি এই বিষয়ে জানান, “শিশির হাজরা ও ছোটন মদক দুজন। আমার দোকানে এসে সমস্ত দোকান ভাঙচুর করেছে। পাশাপাশি আমাকে লাঠি দিয়ে মাথায় মেরেছে। এখানে কংগ্রেস এবং বিজেপি বেশি ভোট পেয়ছে। ওরা ভাবে এই ভোটগুলি আমি করিয়েছি”। দিনের বেলায় এই রকম ঝামেলা ঘিরে। রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমস্ত এলাকায়।
এই সমস্ত ঘটনায় দুই অভিযুক্তের নামে সালার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও হামলার অভিযোগ মানতে নারাজ ভরতপুর ২-এর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তিনি জানান, “এটি সম্পূর্ণ একটি পাড়ার ফ্রেন্ড সার্কেলের ঘটনা। ওরা একে ওপরের বন্ধু। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঝামেলা হয়েছে। এটা অযথায় তৃণমূলের মিছিলে চাঁদা চাওয়া ঘিরে ঝামেলার রূপ দেওয়া হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ”।
সালারের এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, তিনি বলেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম, দিদি এতকিছু পেয়েও খুশি নয়। এবার মারতে আরম্ব করে দিয়েছে। আমি তো এটাই বলছিলাম আপনি তো জিতলেন এবার হিংসা বন্ধ হোক। এখন দিদি প্রধানমন্ত্রী হবে খোকাবাবু মুখ্যমন্ত্রী হবে, তার প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে”। এই ঘটনায় দুজনের নামে অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সালার থানার পুলিশ।