Sairang Express বহরমপুর স্টেশন থেকে সাইরাং এক্সপ্রেস ধরবেন কখন ? বহরমপুর থেকে সাইরাং এক্সপ্রেস-এর টাইম টেবিল জেনে রাখা দরকার।
এই ট্রেন বহরমপুর শহর তথা মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের কাছে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বহরমপুর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) এবং কলকাতা যাওয়া সহজ হয়েছে। সাইরাং-কোলকাতা এক্সপ্রেস (১৩১২৬) ট্রেনটি সকাল ১০ টা ৫৩ মিনিটে বহরমপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ১০ টা ৫৫ মিনিটে ছাড়ে বহরমপুর থেকে। এই ট্রেনে খুব কম সময়ে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানো যায়। সময় লাগে মাত্র ৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। যা ধনধান্যে এক্সপ্রেসের থেকে বেশি হলেও হাজার দুয়ারি এক্সপ্রেসের থেকে কম। ১০ টা ০৮ মিনিটে পৌঁছায় কৃষ্ণনগর, সেখান থেকে ছাড়ে ১২ টা ১০ মিনিটে। এরপরের স্টপেজ নৈহাটি। সেখান থেকে সাইরাং-কোলকাতা এক্সপ্রেস (১৩১২৬) ছাড়ে ১ টা ২৭ মিনিটে। দুপুর ২ টো ৩০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন পৌঁছে যায় সাইরাং-কোলকাতা এক্সপ্রেস (১৩১২৬) ।
আরও পড়ুনঃ ট্রেন তুমি কার? বহরমপুরে ষ্টেশনে বিজেপি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল, ধুন্ধুমার
Sairang Express ধরুন বহরমপুর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে
অন্যদিকে কলকাতা-সাইরাং এক্সপ্রেস (১৩১২৫) ট্রেনটি ট্রেনটি কলকাতা চিতপুর (KOAA) স্টেশন থেকে ছাড়ে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে। দুপুর ৩ টে ২৮ মিনিটে পৌঁছায় বহরমপুর স্টেশন। বহরমপুর থেকে কলকাতা-সাইরাং এক্সপ্রেস (১৩১২৫) ছাড়ে ৩ টে ৩০ মিনিটে। মুর্শিদাবাদ জাংশন স্টেশনে কলকাতা-সাইরাং এক্সপ্রেস (১৩১২৫) ঢোকার টাইম ৩ টে ৪০ মিনিটে, ছাড়ার টাইম ৩ টে ৪২। আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর রোড, নিউ ফারাক্কা, মালদা টাউন, কিষাণগঞ্জ হয়ে এই ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছায় রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে। বহরমপুর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে সময় লাগে ৭ টা ৩০ মিনিট। বহরমপুর থকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন যেতে গেলে আর খাগড়াঘাট স্টেশনে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

Sairang Express কবে চালু হল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন সাইরাং-বৈরাবি রেললাইনের । এই রেল লাইনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মিজোরামের রাজধানী আজওয়াল সরাসরি কোলকাতার সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হয়। আর সেটা হয় নশিপুর রেল সেতুর মাধ্যমে বহরমপুর কোর্ট স্টেশন এবং আজিমগঞ্জ জাংশন স্টেশন জুড়ে যাওয়ায়। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় বাণিজ্যিক পরিষেবা — চালু হয় কোলকাতা-সাইরাং এক্সপ্রেসের ।
Sairang Express দেখে নিন এই ট্রেনের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
🚆 কলকাতা-সাইরাং এক্সপ্রেস (১৩১২৫)-
এই ট্রেনটি কলকাতা চিতপুর (KOAA) স্টেশন থেকে ছাড়ে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এবং সাইরাং (SANG) স্টেশনে পৌঁছায় দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে।
🔹 মোট দূরত্ব: ১৫০৫ কিলোমিটার
🔹 গড় গতি: ঘণ্টায় ৪৮.০৩ কিমি
🔹 সময় লাগে: ৩১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
🔹 স্টেশন সংখ্যা: ২৮টি জনপ্রিয় স্টেশন
যাত্রীদের জন্য রয়েছে একাধিক শ্রেণির কোচ —
সেকেন্ড এসি (2A), থার্ড এসি (3A), থার্ড এসি ইকোনমি (3E), ও স্লিপার ক্লাস (SL)।
ফেরার ট্রেন: ১৩১২৬ সাইরাং-কোলকাতা এক্সপ্রেস।
Sairang Expressসাইরাং-কোলকাতা এক্সপ্রেস (১৩১২৬)
এই ট্রেনটি সাইরাং (SANG) স্টেশন থেকে ছাড়ে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে এবং কলকাতা চিতপুর (KOAA) স্টেশনে পৌঁছায় দ্বিতীয় দিনের দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
🔹 মোট দূরত্ব: ১৫০৫ কিলোমিটার
🔹 গড় গতি: ঘণ্টায় ৪৮.১৬ কিমি
🔹 সময় লাগে: ৩১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
🔹 স্টেশন সংখ্যা: ২৮টি জনপ্রিয় স্টেশন
এ ট্রেনেও রয়েছে 2A, 3A, 3E ও SL শ্রেণির কোচ।
চূড়ান্ত চার্ট প্রকাশ করা হয় ট্রেন ছাড়ার ৩-৪ ঘণ্টা আগে।
Sairang Express
এই নতুন রেল পরিষেবা চালুর ফলে মিজোরামের রাজধানী আজওয়াল এখন দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়েছে। কলকাতা-সাইরাং রেলপথ কেবল যাত্রী পরিবহণ নয়, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে এই ট্রেনের মাধ্যমে।














