Sagarpara Incident পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল সাগরপাড়া, স্কুলের গেটে তালা! হল অবরোধ

Published By: Imagine Desk | Published On:

Sagarpara Incident  সাগরপাড়া থানার অন্তর্গত খয়রামারী হাইস্কুলের সামনে তুলকালাম কাণ্ড। সোমবার স্কুলের গেটের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল ছাত্র ছাত্রীরা। প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে সুর চড়াল পড়ুয়ারা। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের রাস্তা ও ধনিরামপুর-ডোমকল রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িও।

Sagarpara Incident কীসের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা?

পড়ুয়াদের অভিযোগ- বিনা কারণে তাঁদের মারধর করা হয়েছে, অভিযোগের তীর স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দিকে।

Sagarpara Incident  পড়ুয়াদের সাফাই- ২ রা জানুয়ারি স্কুলে ভর্তির দিন ছিল। স্কুলে এসে জানা যায় ৩০০ টাকার পরিবর্তে ভর্তি ফি ৪০০ টাকা করা হয়েছে। কোনরকম মিটিং না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনেকেই দুস্থ পরিবার, ৪০০ টাকা ফিজ দেওয়া সম্ভব নয়। স্কুলের তরফে গত শুক্রবার হয় অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং। সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় সেখানে। তারপর সকলের কথা ভেবে ৩০০ টাকা ফিজই ধার্য হয়। যদিও আবারও ৪ তারিখ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে ৪০০ টাকা করেই নেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীরা আরও জানান, পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার ভাইয়ের দাবি মেনে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বর্ধিত ‘ফিজ’ দিতে রাজি না হওয়ায় শনিবার পঞ্চায়েত প্রধান নিজে উপস্থিত থেকে এবং কয়েকজন বহিরাগত দুষ্কৃতিদের দিয়ে স্কুলের কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করেন। এরই প্রতিবাদে এদিন পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।

Sagarpara Incident স্কুলের দরজায় তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের তরফে। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীকে সকালে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান যতক্ষন না তাদের কাছে ক্ষমা চাইবেন, তারা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। সাগরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পথ অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। সোমবার দুপুর নাগাদ বিডিও এবং সাগরপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্কুলে পৌঁছে বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পুলিশি আশ্বাস পেয়ে আধ ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

Sagarpara Incident কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

Sagarpara Incident যদিও খয়রামারী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিঠুন বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবী, ‘ গত শনিবার স্কুলে যাই। বহিরাগত দুষ্কৃতিরা শিক্ষক, স্কুল প্রেসিডেন্টদের উপর চড়াও হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাদের বের করে দিই, কোন পড়ুয়াদের গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। স্কুলে সিসি ক্যামেরা আছে, দেখলেই বোঝা যাবে। চক্রান্তকারিরাই ছাত্রদের উস্কে দিয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে”।