নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বেলুন নেবেন, ভালো বেলুন। এমন বেলুন কোথাও পাবেন না। এ বেলুন ফাটবে না, ছিঁড়বে না। হলুদ টেডি বেয়ার আবার ডোরেমনের আদলের বেলুন নিয়ে রাস্তায় ফেরি করছে বছর ১৪-র পথশিশু। কিসের চিল্ড্রেন্স ডে! নিজেই যেন এক নবিতা। খোশ মেজাজে রাস্তায় ফেরি করছে বেলুন। সেই পথশিশুর থেকে নিজের বাড়িতে থাকা শিশুর জন্য বেলুন কিনে নিচ্ছেন পথচারীরাও। বেলুন বিক্রি বাট্টাও ভালোই হচ্ছে। মুখে লেগে রয়েছে হাসির আভা। সুদূর রাজস্থানের জয়পুর থেকে শহর বহরমপুর জার্নিটা কঠিন, কিন্তু গল্পটা সহজ। শহরের রাস্তায় কখনও হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। কখনও বা খাচ্ছে সিকিউরিটি গার্ডের ধমকও। কিন্তু হাসি রয়েছে অবিচল।
ক্লাস ওয়ানে স্কুলে গিয়েছে শেষ বার। তারপরে বাবা মা’র সাথে রুজি রুটির টানে পারি দূরদেশে। ওর ভবিষ্যৎ কী হবে তা আমরা জানি না। এই শিশু যে অতি সাধারণ কাজ করছে এই বয়সে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শিশুদিবসে স্কুলে স্কুলে সর্বত্র শিশুদের মঙ্গলকামনায় পালিত হয় দিনটি। তবে এদের হিসেব কে রাখে? নিজেরটা বুঝে নিতে হয় নিজেকেই। কখনও কেউ বেলুন কিনলে দু’পয়সা আয় হয়, তা দিয়েই জোটে দু’মুঠো ভাত। ও কিন্তু চিনে নিচ্ছে নিজের দেশকে। ও জানে না শিশু দিবসের মানে, তবে নিশ্চয় বুঝবে একদিন। তবে সেদিন অনেক দেরি হয়ে যাবে না তো। থেকে যাচ্ছে প্রশ্নই।