Rice Kanji Benefits এক বছরের প্রতীক্ষা শেষ। দুর্গোৎসবে মাতোয়ারা বাংলা। পুজোর এই কটা দিন কাজের চাপ, ক্লান্তি ভুলে শুধুই আনন্দ, উল্লাসে মেতে ওঠে আট থেকে আশি। নেই কোন সময়ের বাঁধন, সারা বছরের সমস্ত নিয়ম ভেঙে ফেলে হুল্লোড় আর আনন্দই এখন মেইন মোটো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া, স্ট্রিট ফুড, জাংক ফুডের পর পুজোর কটা দিন সুস্থ থাকবেন কীভাবে? নিয়ম না মেনেও কোন উপায়ে অনায়াসেই সুস্থ থাকবে পেট? তারই হদিশ আজ দিলাম আপনাদের।
Rice Kanji Benefits উৎসবের আনন্দে খুব বেশি নিয়ম মানতে গেলে পুজোর মজাটাই মাটি হয়ে যায়। বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন যখন একসঙ্গে জড়ো হয়ে হই হই করে রোল, ফুচকা, আইসক্রিম বা কষিয়ে রাঁধা খাসির মাংস খাওয়ার বায়না ধরবে, তখন আপনি যদি বলে ওঠেন ময়দা খাব না, রেড মিট বা মিষ্টি খাই না, তবে বাকিদের উৎসাহে ভাটা পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আপনার আনন্দ মাটি হবে। পেটকে বিগড়োতে দেওয়া যাবে না। আবার পুজোর ক’দিন এটাসেটা খেয়েও পেট ঠিক রাখতে হলে খেতে পারেন কয়েকটি পানীয়। কিছু ঘরোয়া পানীয় রয়েছে, যা পেট ভাল রাখার জন্য কার্যকরী। আর পেট যদি পরিষ্কার থাকে, তা হলে ত্বক, চুলের স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকবে, তেমনই ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তেমনই দুটি উপকারী পানীয় হল ভাতের কাঞ্জি এবং কারিপাতা দিয়ে তৈরি ঘোল।
Rice Kanji Benefits কী ভাবে বানাবেন?
Rice Kanji Benefits ভাতের কাঞ্জি
উপকরণ: ২ টেবিল চামচ ভাত, ২০০ মিলিলিটার জল, ১/৪ চা চামচ সর্ষের দানা, ২-৩টি কারিপাতা, এক চিমটে নুন, ১ চা চামচ তেল বা ঘি।
প্রণালী: ভাত ভাল ভাবে চটকে তাতে জল মিশিয়ে দিন। তার পরে সেটি ১২-১৪ ঘণ্টার জন্য গেঁজিয়ে ওঠার জন্য রেখে দিন। পরিবেশনের আগে প্যানে তেল বা ঘি গরম করে তাতে সর্ষে ফোড়ন এবং কারিপাতা ফোড়ন দিয়ে ভাতের মধ্যে ঢেলে ছেঁকে নিয়ে পরিবেশন করুন।
Rice Kanji Benefits কারিপাতার ঘোল
Rice Kanji Benefits উপকরণ: ৩ টেবিল চামচ ঘরে পাতা দই, ১৫০ মিলিলিটার জল, ১ চা চামচ কারিপাতা বাটা, এক চিমটে নুন এবং এক চিমটে গোলমরিচ গুঁড়ো।
প্রণালী: কারিপাতা বাটা এবং নুন একসঙ্গে মিশিয়ে ২ দিন রেখে দিন, যাতে মিশ্রণটি গেঁজিয়ে যায়। এর পরে দই, জল এবং গোলমরিচ গুঁড়ো একসঙ্গে ভাল ভাবে মিশিয়ে তাতে ওই গেঁজানো কারিপাতা গুলে দিলেই তৈরি কারিপাতার ঘোল।