ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে সম্ভবনার বার্তা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বদলাচ্ছে শিল্পের ধরণ। এখন শিল্প মানেই পরিবেশ দূষণ নয়। একযোগে শিল্পউদ্যোগ ও পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা দিলেন পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার দীপাঞ্জনা ভট্টাচার্য। দিনের পর দিন নিঃশেষ হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। সেই কথা মাথায় রেখেই শুধু প্লাস্টিক নয় পুরোনো মোবাইল বা ইলেকট্রনিক জিনিস থেকে শুরু করে রোজকার ফেলে দেওয়া জিনিষের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে ও তার পুনঃব্যবহারের কথা ভাবতে হবে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে শিল্পের সম্ভাবনার কথা আলোচনা হল এম.এস.এম.ই-র মুর্শিদাবাদ জেলা শিবিরে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসকে রিসাইকেল করে কীভাবে শিল্পউদ্যোগ নেওয়া যায় তা আলোচনা হয় এদিনের শিবিরে।

কৃষি নির্ভর জেলা মুর্শিদাবাদে কীভাবে গড়ে উঠবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প? জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সমাধানে একরাশ শিল্পসম্ভবনা নিয়ে ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগপতি ও শিল্পপতিদের নিয়ে জেলা শিবির হল বহরমপুরে। বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোগপতি ও শিল্পপতিরা। এই শিবিরের মধ্য দিয়ে জেলাবাসীর জন্য একাধিক শিল্পভাবনা সামনে আসবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকেরা। এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক আনশুল গুপ্তা। জেলা নোডাল অফিসার ব্রততী মৈত্র , ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার তন্ময় ব্রহ্ম , পার্শ্ববর্তী মালদার জেলার সিনিয়র ইঞ্জিনিয়র দিপাঞ্জনা ভট্টাচার্য , মুর্শিদাবাদ জেলার চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য সরকারী আধিকারিক ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা। এদিন রবীন্দ্র সদনের মঞ্চ থেকে জেলার ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোগপতিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অভিনব শিল্পভাবনার কথা তুলে ধরেন তাঁরা।

আগস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে জেলা জুড়ে পালিত হচ্ছে এম.এস.এম.ই মাস। আগস্ট মাসের প্রথম দিনে বহরমপুর ব্লক অফিসে থেকে শুরু হয়ে সারা সপ্তাহ ব্যাপি ব্লকে বক্লে শিবিরও করেছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে হয়ে গেল এম.এস.এম.ই-এর জেলা শিবির। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সরকারী প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণও। ক্ষুদ্র,ছোট ও মাঝারি হস্তশিল্পীদের প্রতি এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে লাভবান হবেন বলেই মনে করছেন উপভোক্তারা।