নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ শিক্ষক নিয়োগ থেকে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির জালে ধরা পড়েছে চুনোপুঁটি থেকে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীও। তদন্ত মাঝপথে। তারমধ্যে শাসক দলের আরও তাবড় মুখ সামনে আসবে বলে সকাল, সন্ধ্যায় দাবি করেন তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কয়েক দফা তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দল। পুর নিয়োগ কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ফের টিটাগড় ও বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যানকে তলব করেছে ইডি। সেই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি পুরসভাতেই দুর্নীতি হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুরসভাগুলিতেও হয়েছে।” জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি বলেন, “ শুধু টিটাগড়, বরানগর নয়। সর্বত্র চুরি হয়েছে, সর্বত্র নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে প্রত্যেক পুরসভায়। এখান থেকেও প্যান্ডোরা বাক্স খোলা হলে দুর্নীতি আছড়ে পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক পুরসভা দুর্নীতির আখড়া। মানুষের জমি কেড়ে নেওয়ার মতো এক অপরাধ চক্র তৈরি হয়েছে পুরসভাকে কেন্দ্র করে।” মুর্শিদাবাদে আটটি পুরসভা। নতুন হওয়া ডোমকল পুরসভা বাদ দিলে বাকি সাতটি পুরসভার অধিকাংশই একসময় কংগ্রেসের দখলে ছিল।
সেই তথ্য দিয়ে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইডি সিবিআইকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তাঁরা এসে তদন্ত করে দেখুন ২০১২-১৮ পর্যন্ত প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলরতন সরকারের আমলে বহরমপুর পুরসভার প্রতিটি স্তরে কত কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। অধীরবাবু সেই সময় পুরসভার উপদেষ্টা ছিলেন। পাশাপাশি এটাও বলছি ২০২২ সালও তদন্তে থাকুক। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে দুর্নীতির আখড়া কে ও কোথায়। একে চোরের মায়ের বড় গলা ছাড়া আর কী ই বলার আছে?”
কান্দি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড বলেন, “নীলরতন আঢ্য বেঁচে নেই। বাবুল কবীর এখনও বেঁচে আছেন। তিনি এর সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। আমি অধীর বাবুকে বলবো ১৯৯৯ সাল থেকে শুধুমাত্র বহরমপুর পুরসভায় যত চাকরি হয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ করুন। তারপর ইডি সিবিআই জেল ফাঁসি দেখা যাবে। ২০০০ সাল থেকে মুর্শিদাবাদের কোন পুরসভার কোথায় কী হয়েছে আই নো এভরিথিং।”