নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে শুরু হল ৪৩তম মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা। মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগার এই মেলা আয়োজন করে। এবার মোট ৭৫টি প্রকাশক এসেছেন। প্রতি বছরের মতন এই বছরও পাঠকের ভিড় ছিল অনেক। “আগের বছর ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল এবং এই বছর সেই রেকর্ড ভেঙে ২ কোটি টাকার বই বিক্রি হবে”, বলে জানান জেলা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
এবং সেই আশায় এবারও নিজেদের স্টল দিয়েছেন প্রকাশকেরা। তার মধ্যে আছেন নামকরা প্রকাশক থেকে শুরু করে অনেক নতুন নতুন পাবলিশার্সরও। নতুন বইয়ের স্বাদ নিতে ভিড় জমিয়েছেন পাঠকেরাও ।
বইমেলায় আগত এক পাঠক মিতালি খাতুন জানান, ‘সারা বছর অপেক্ষা থাকে এই এক দিনের জন্যই। ছোট থেকেই বই পড়তে ভালোলাগে, তাই বই মেলা আয়োজন হলে একবার হলেও আমাকে আসতে হবেই।’
বাংলা উপন্যাস থেকে ইংলিশ নোভেল আবার কোথাও শ্রেষ্ঠ ভুতের গল্প থেকে বাচ্চাদের জন্যে চেনা সেই নন্টে-ফন্টে। সব মিলিয়ে আট থেকে আশি সবারির জন্যে মন পছন্দ বই পাওয়া যাচ্ছে এবারের বই মেলায়। পড়াশোনার ফাঁকে এক চিলতে ছুটি পেয়ে বইমেলায় বই মেলায় ছুটে এসেছেন পড়ুয়া অনুরূপা পাল। তিনি জানান, ‘সবে মাস্টার্স শেষ হয়েছে। তাই মাথায় কোন চাপ নেই। সারা বছর আমি টাকা জমায় এই একটি দিনের জন্যই। আর এত এত বইয়ের মাঝে আসতে পেরে মনটা ভালো হয়ে যায়।’
যদিও বর্তমান ডিজিটাল যুগে বা মোবাইল ফোন আসার পর থেকে বাচ্চা থেকে বড়রা সবাই কমবেশি এখন ফোনেই নিজেদের সময় কাটান। এর মাঝে কাগজের বই-এর চাহিদা যে এখনও রয়ে গিয়েছে সেটা পাঠকের সমাগম দেখলেই বোঝা যায়। পাশাপাশি আগত প্রকাশক আর্শাদ হোসেন জানান, ‘প্রতিবারই আসি আমরা, এবং প্রতি বছর পাঠক সংখ্যা বাড়তে থাকে। আগের বছর যে সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন এবার তার চেয়েও বেশি মানুষ আসবেন বলে আশা করছি। এবং এখানকার মানুষ বই পড়তেও খুব ভালোবাসেন।’ এবারের বইমেলার থিম ভাষা পড়ব, ভাষা লিখব।
শনিবার বিকেলে বই মেলার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এদিন ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে বই মেলার উদ্বোধনে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, মুর্শিদাবাদ বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ অচিন্ত সাহা, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান সেখ, বিধায়ক অপূর্ব সরকার, আশিস মার্জিত সহ বিশিষ্টজনেরা।