Raninagar BSF মুর্শিদাবাদে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে বড়সড় পদক্ষেপ বিএসএফ এর

Published By: Imagine Desk | Published On:

Raninagar BSF  মুর্শিদাবাদের রানীনগরে চর রাজাপুর সীমান্তে ৭৩ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বিশেষ অনুষ্ঠান হল শুক্রবার। বিএসএফ Border Security Force এবং কৃষক সহযোগিতা উৎসবে সামিল হলেন সীমান্তের বাসিন্দারা। এদিন মূলত ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে সমস্ত জায়গা জিরো পয়েন্টে সরিয়ে দেওয়া হল। সীমান্তের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবী মেনেই আনিষ্ঠানিক ভাবে এদিন এই প্রক্রিয়াই ঘোষণা করল সীমান্ত রক্ষা বাহিনী। এদিনের অনুষ্ঠানে বিএসএফের মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা , ডোমকলের এসডিও SDO Domkal শুভঙ্কর বালা সহ পদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Raninagar  BSF কী জানালেন আধিকারিকরা ?

Raninagar  BSF বিএসএফ এর মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা জানান, ” চেকিং পয়েন্ট জিরো লাইনের কাছে এগিয়ে দেওয়া হল। কৃষকদের সুবিধা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ, যাতে তারা কৃষিকাজে সময় পান। কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও নজর রাখা হবে।” তিনি আরও বলেন, ” ফারাক্কা থেকে জলঙ্গি, লালগোলা থেকে রানানগর- মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়েই এই পদক্ষেপ। কৃষকদের সমস্যা এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ডমিনেশন লাইন – জিরো লাইনে সরে গেল। এতদিন বি এস এফ সীমানার ভেতরের দিকে ডমিনেশন লাইনে মোতায়েন ছিল। কারণ, রাস্তাঘাট, আলোর সুবিধা ছিল। আই বি দূরে ছিল, সেখানে যাতায়াতের সুবিধা ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষজন, যারা বিশেষত চরে চাষবাস করেন তারা বড় সমস্যার মুখোমুখি হন এতদিন। কৃষকদের দাবী ছিল, চেকিং ছাড়াই চরে চাষাবাদের কাজের অনুমতি দেওয়া হোক! সেই সুবিধা বাড়াতেই চেকিং পয়েন্ট জিরো লাইনের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। যাতে চেকিং ও হয়, চাষাবাদের কাজের সময়ও থাকে।”

Raninagar  BSF ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মুর্শিদাবাদের অধিকাংশ জায়গাই খোলা। দ্রুত সেগুলোও কাঁটাতারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানায় বিএসএফ। বিএসএফ এর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারাও। ডোমকলের এসডিও শুভঙ্কর বালা জানান, “সীমান্ত থেকে ১৫০- ২০০ মিটারের মধ্যেই সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর পেট্রলিং এর লক্ষ্য ছিল। যদিও নদী কেন্দ্রিক সীমানা হওয়ায় ছিল জটিলতা। অবশেষে কিছু জমি পেয়ে প্রশাসন, পুলিশ এবং বিএসএফ এর সহযোগিতায় সেই জটিলতা কাটল।”

Raninagar BSF  এদিনের অনুষ্ঠানে হয় স্বাস্থ্য শিবির। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দা, কৃষকদের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। সীমান্তের বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনে জন সংযোগের ক্ষেত্রে কৃষক সহযোগিতা উৎসবের রূপ দেয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী।