মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ জল নেই কুয়ে নদীতে । বর্ষার বৃষ্টি নেই। পাট শুকিয়ে কাঠ।বহু জমির পাট নষ্টের আশংকা । কান্দি মহকুমার ভরতপুরে খরায় পাট নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে আশংকা করছেন বহু চাষি।কুয়ে নদীর দুপারে গ্রাম রয়েছে । তারই মধ্যে নদীর পারে রয়েছে বিল । ভরতপুরে ওই বিলে অনেকটা অংশে পাট চাষ হয় । সেই সব পাট জাঁক দেওয়া দুরের কথা! জমিতে পাট শুকিয়ে পাটকাঠি হয়ে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত চাষিদের। এতোদিন সেখানে ধান লাগানোর কথা। কিন্তু, বৃষ্টির জেরে সেসব এখন অতীত।
এক কৃষক বলছিলেন, এবছর পাটের ভালো ফাইবার হবে মনে হয়েছিল । কিন্তু, সব গেল। যা পরিস্থিতি তাতে এরপর বৃষ্টি হলেও ওই পাট বাঁচানো যাবে না।ভরতপুর দাঙ্গাপারার কৃষক শুকুর আলি বলেন, এখন সরকার যদি কিছু করেন তবে চাষিরা বাঁচবে। এলাকার আরেক কৃষক বলেন, এখন নদিতে যদি কোনওভাবে জল ছাড়া সম্ভব হয় তাহলে পরিস্থিতির সুরাহা হতে পারে। সুরপারা, নতুনপারা, সুন্দরপুর, ছতরপুর এলাকার জমিও শুকনো খাঁ খাঁ করছে। ওই এলাকায় ঘুরে দেখা গেলো ধু ধু করছে মাঠ।মনে হচ্ছে আগুনের আঁচে কুঁকড়ে গিয়েছে ঘাস। একই অবস্থা পাট গাছের। লম্বা পাট গাছ শুকিয়ে যেন ছোট হয়ে গিয়েছে।রোদের তাপে রস নেই গাছে। বর্ষায় বৃষ্টি নেই।পাট জাঁকে দেওয়ার জন্যে কোনও তোরজোড় দেখা যায়নি কৃষকদের মধ্যে।শুধু কুয়ে নদী নয়, কাছাকাছি থাকা ময়ুরাক্ষী, কানা ময়ুরাক্ষী নদীতেও জল নেই।ফলে হাপিত্যেস করে বসে রয়েছেন কৃষকরা।