বহরমপুরে গঙ্গার ঘাটে নির্বিঘ্নে প্রতিমা নিরঞ্জন
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বৃষ্টিতে (Rain) ভিজতে-ভিজতে মা দুর্গার (Durga) বিসর্জন। মা চলে যাবে। বিদায় জানাতে হবে। অনেকের চোখ ভিজে ওঠে। এবার মা ও সন্তানরা একসঙ্গে ভিজল। অনেক প্রতিমা দেখে মনে হচ্ছিল বৃষ্টিতে মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি অশ্রু ভেজা। মনে হচ্ছিল মাও কাঁদছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছিপছিপে বৃষ্টি খানিকটা হলেও মন খারাপ করে দিল। একে তো বিসর্জন শুনলেই মনটা গুমরে ওঠে। মায়ের এবার যাওয়ার পালা। সারা বছরের প্রস্তুতি শেষে মহাষষ্ঠী থেকে নবমী। চলে শারোদৎসবের উদযাপন। আকাশের পানে চেয়ে চাতকের উল্টো প্রার্থনা থাকে, যেন বৃষ্টি না হয়। বৃষ্টি অসুর যেন পুজোর আনন্দ পন্ড না করে দেয়। তবে সব ভালো যার তার খানিকটা হলেও শেষ ভালো হল না। তা বলে বৃষ্টি দমাতে পারেনি। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্যে মিছিল করে গঙ্গার ঘাটের দিকে গিয়েছেন কম-বেশি সবাই। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এই ছবি বহরমপুরে।
Durga Immersion in Murshidabad এদিন গোরাবাজারে কলেজ ঘাটে একের পর এক প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। অন্যান্য ঘাটগুলিতেও মায়ের বিসর্জন দেখতে ভিড় উপচে পড়ে।
এদিন বৃষ্টি মাথায় পুলিসকর্মীরা পাহারা দিয়েছেন। মহিলা পুলিস কর্মীরাও ছিলেন। ছাতা মাথায় তাঁরাই মায়ের শেষ প্রহরী। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, নির্বিঘ্নেই এদিন বিসর্জন হয়েছে।
এদিন দুপুর থেকেই গঙ্গার ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু হয়। বহরমপুরের (Berhampore) রাস্তায় দেখা গিয়েছে মহিলারা সিন্দুর খেলতে-খেলতে বিসর্জনের মিছিলে এগিয়ে যাচ্ছে। রং, বেরঙের পাঞ্জাবি, শাড়ির শোভাযাত্রা। তবে সব প্রতিমা এদিন বিসর্জন হয়নি। বহরমপুর শহরেই ২০০-র বেশি দুর্গা পুজো হয়েছে এবার। কয়েক দিন ধরে টানা বিসর্জন চলবে। শুধু বহরমপুর নয়। জেলার অন্যান্য গঙ্গার ঘাটগুলিতেও এদিন বিসর্জন হয়েছে। এছাড়া পুকুর, নদী সহ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে।
Durga Immersion in Murshidabad আবার এক বছরের অপেক্ষা। উন্মাদনার প্রহর গোনা। পুজোর ছুটিতে বাড়ি আসার পরিকল্পনা। কুসুমের সঙ্গে টমের প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ঘোরার প্রহর গোনা। মায়ের আশীর্বাদে সারা বছরের পথ চলতে মনের জোর পাওয়া। পরের বার দুর্গার আরাধনায় নতুন কী থিম হবে তা ভাবতে বসা। আজ রাতে গঙ্গার ধার থেকে, একটি আওয়াজ মুখরিত করছিল, বলো দুগগা মা…