মুর্শিদাবাদে রাহুলের ন্যায় যাত্রা ফ্লপ ! দাবি তৃণমূলের, পাল্টা অধীর

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  বহরমপুরে রাহুল গান্ধীকে এনে নাকি ফ্লপ করেছে কংগ্রেস। এবার এমনটাই দাবি করল তৃণমূল। বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জির দাবি, লোক হয় নি রাহুলের ন্যায় যাত্রায়। তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেসের একটি সেন্টিমেন্ট রয়েছে এই জেলায়। কংগ্রেসের যে কী অবস্থান সেটা ভোটের রেজাল্ট বলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ও অভিষেক বাবুর যে জনজোয়ার দেখা গেল। তার যদি ৫% রাহুল বাবুকে এনে দেখাতে পারত অধীর বাবু তাহলে মনে করতাম কংগ্রেস অক্সিজেন পেত।  কিন্তু এখানেই ভোটটা প্রমাণ হয়ে গেল কংগ্রেস ৩ নং স্থানে থাকবে। এবং বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের লড়ায় হবে।”

১ ফেব্রুয়ারি ন্যায় যাত্রায় ন্যায় যাত্রায় বহরমপুরে আসেন রাহুল গান্ধী। তার ঠিক ১ দিন আগে বহরমপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুরে এসে ওয়াইএমএ মাঠ থেকে স্কোয়ার ফিল্ড পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটেন তিনি। নাড়ুগোপালের দাবি, কংগ্রেসের দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে রাহুলের যাত্রায়।

বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করতে এসেছিলেন। তাঁর হাঁটার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর হাঁটার কোন তুলনা হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সমস্ত আশা-ভরসা জড়িয়ে। কিন্তু রাহুল গান্ধীর কাছে মানুষের কোনোরকম দাবি নেই। ওনাকে দেখতে এসেছিল কারণ এত বড় একটা ব্যক্তিত্ব। এর চাইতে বেশিকিছু না।” শুক্রবার কলকাতার সভা থেকে রাহুলের যাত্রাকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান, “মণিপুর যখন কাঁদছিল তখন কোথায় ছিলে তোমরা? আমরা উদ্ধারকার্যের জন্য টিম পাঠিয়েছিলাম। আমি নিজে যেতে চেয়েছিলাম পার্মিশান পায় নি। কংগ্রেস জেতা জায়গায় গিয়ে হেরেছ। বুকের পাঠা থাকলে বিজেপিকে হারিয়ে দেখাও।” 

তৃণমূলকে পালটা নিশানা করেতে ছাড়েনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানান, “এই রাহুল গান্ধীর পরিবারের দয়াতে, যে মহিলা আজ কংগ্রেসের নেত্রী ছিল, সোনিয়া গান্ধীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলো। যখন পাটনা তে মিটিং করতে গেলো তখন বললেন রাহুল গান্ধী আমাদের লিডার। তার মুখে এমন মন্তব্য বাংলার মানুষ ধিক্কার জানাবে। আমাদের স্টকে অনেক কিছু আছে আমরাও তো বলতে পারি, বলিনা। অজিত পাঁজা বলেছিলেন, তিনি মেগালোমেনিয়া, নিজের ছাড়া অন্যের ভালো দেখতে পারেননা।”