মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ পুজোর পাঁচ দিন শেষ। অফিস-কাছারির ছুটিও শেষ। উমার এখন আবার ফিরে যাওয়ার পালা। আর আমবাঙালির অপেক্ষা শুরু আরও একটা বছরের। কিছুদিন আগেই বাঙালি অপেক্ষা করছিল, কবে দেবী দুর্গা আসবেন, এবং ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত আনন্দের মধ্য দিয়ে সারাদিন কাটবে। যখন সেই মুহূর্ত চলে আসে তখন কীভাবে দিনগুলো চোখের নিমিষে কেটে যায় বলা মুশকিল।
দশমীও চলে গেল। ঘাটে ঘাটে দেবী দুর্গার নিরঞ্জন তারপর বিসর্জন প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সাতপাকে মা’কে ঘুরিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়ে গেছে অনেক পুজো কমিটির। কিন্তু গোটা শহরবাসীর জন্যে আবারও একটি চমক। আগের বছরের মতো এবারও ধুমধাম করে আয়োজিত হবে পুজোর কার্নিভাল (Durga Puja Carnival)।
এত দ্রুতগতিতে দুর্গা পুজো কেটে যাওয়ার ফলে আমরা অনেকই সব ঠাকুর দেখে উঠতে পারিনা। তাই এবার আবারও বহরমপুরের বুকে হতে চলেছে দ্বিতীয় বছরের পুজো কার্নিভাল। বৃহস্পতিবার শহরে পুজোর কার্নিভাল। শহর ও শহরতলির অনেক পুজো কমিটি তাদের প্রতিমা নিয়ে অংশগ্রহণ করে এই কার্নিভালে। জাঁকজমকপূর্ণ সেই শোভাযাত্রার জন্য বহরমপুরের ওয়াইএমএ (YMA) মাঠ সেজে উঠছে জোড় কদমে।
চারিদিক ফাঁকা থাকবে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্যে। মাঝখান দিয়ে বড় জায়গা থাকবে পুজো কমিটিদের জন্যে। এবং মাঠে মাঝের মঞ্চে বসার জায়গা প্রশাসনিক কর্তা ও বিশেষ অতিথিদের জন্য। এক বছরের অপেক্ষার আগে আবারও মানুষ দেখতে পাবেন কিছু ভালো ভালো দুর্গা প্রতিমা। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।
একই সঙ্গে শহরের বেশ কিছু রাস্তায় বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বৃহস্পতিবার অফিস-কাছারি খোলা থাকবে। সাধারণ মানুষজনের যাতে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে মুর্শিদাবাদ পুলিশের তরফ থেকে নানান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। যেহেতু এই মাঠটি খুব কাছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। তাই কোনরকম সমস্যা না হয় সেই দিকেও দেওয়া হচ্ছে নজরদারি। ২৬ অক্টোবর বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে পুজো কার্নিভাল। চলবে রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত।
তার আগের থেকেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবং সেখান থেকে প্রতিমা বেড়িয়ে যাবে চার্চের রাস্তা ধরে সোজা বহরমপুর কলেজ ঘাটে। এবং প্রবেশ করবে বহরমপুর গার্লস কলেজের দিকের গেট থেকে। তাই পুরো এলাকাতেই হতে পারে যানজটের সমস্যা। কার্নিভালে আসা গাড়ি ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না অন্য কোন বড় গাড়ি।