Pujo 2022 : বহরমপুরে নতুন খাবার কাঁচা ঢ্যাঁড়শ, পটল, ওল মাখা, পুজোর প্যান্ডেলে মিলতে পারে দেখা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

পুজো মানে হই হুল্লোড়। রঙ্গীন পোশাক। থিমের প্যান্ডেলে ঘুরে বেরিয়ে ঠাকুর দেখা। সেলফি তোলা । নতুন গান। নতুন সিনেমা দেখা। আর তার সঙ্গে জমাটি খাওয়া। দুর্গা পুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব । তাই প্রতি বছর নতুন পোশাক চাই। খাওয়াতে নতুন রেসিপি চাই। খাবারের মেনুতে নতুন আবিষ্কার হলে পোয়াবারো । পুজো এলেই গ্রামে গঞ্জে উনুনে মায়েরা খই, হলুদ মুড়ি ভাজতে শুরু করে দেন। খইয়ে গুড় মাখিয়ে মুড়কি তৈরি হয়। নারকেলের, চিনি, তিল সহ বিভিন্ন নাড়ূ হয়। শহরে পুজোর কয়েক দিন অনেকে নতুন পদের রান্না করেন বাড়িতে। কারো কারো মনে পড়ে পিছন জীবনে ফেলে আসা গ্রামের বাড়ি। ছোটোবেলা, বাবা মায়ের স্মৃতি মনে করে নাড়ু কিনে খান কেউ কেউ । তার পাশাপাশি, শহরে ধাবা, রেস্টুরেন্টে চলে খাওয়া। প্যাণ্ডেল হপিং। খাবার কিনে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা জায়গায় পরিবারের সঙ্গে চলে দেদার খাওয়া। এই খাবারের তালিকায় যোগ হয় রাস্তার ধারে ঠেলা গাড়িতে বিক্রি করা টক কদ মাখা, বিলাতি আমড়া, ফুচকাও। ভাবলেই জিভে জল চলে আসে। সেখানে এবার কি অভিনবত্ব? পুজো মানে জমজমাট মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই নয়, আশাপাশের ৪-৫টি জেলা থেকে পুজো দেখতে এখানে আসেন কাতারে কাতারে মানুষ।

সেসময় হোটেল, রেস্টুরেন্টে প্রচুর ভিড় হয়। তাদের জন্যে এবার সুখবর। দু’বছর করোনা পরিস্থিতি পর এবার নতুন সাজে সেজে উঠছে বহরমপুর। 100 ফুটের প্যান্ডেল। কোথাও থিমের চমক। সেখানেই এবার পুজোর প্যান্ডেলে দেখা মিলতে পারে কাঁচা সবজি মাখা।

একেবারে মাঠ থেকে সরাসরি পৌরসভার পাড়ায় পাড়ায়। বিক্রেতারা বলছেন, অনেকেই ভাবতেই পারবেন না। ঢ্যাঁড়শ, পটল, ওল, চালকুমড়ো মাখা খেয়েছেন কখনও? তা নিয়েই এবার বহরমপুরের পুজো প্যান্ডেলে হাজির হবে কৃষ্ণমাটি পালপাড়ার বিক্রেতা মধ্য তিরিশের নেপাল। তাঁর বাড়ি অবশ্য মধ্যপাড়ায়। বহরমপুর থেকে সারগাছির দিকে গঙ্গার ধার বরাবর গেলে ৩-৪ কিমির মধ্যেই পড়বে ওই জায়গা। তিনি বছর দশেক সেখানে কদ, পেয়ারা, আমড়া মাখা বিক্রি করে আসছেন। কিন্তু, মাস তিনেক হল ওই কাঁচা সবজি মাখা বিক্রি করা শুরু করেছেন।

স্বদেশীয় আপন উদ্ভাবনের প্রক্রিয়ায়। আর তাতেই কেল্লাফতে। এক লাফে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে তাঁর। কাঁচা সবজি মাখা যে এতো সুস্বাদু হতে পারে জানার পর থেকে ভিড় বাড়ছে তাঁর কাছে। কোনওভাবেই রেসিপি কাওকে জানাবেন না দাবি করে কনফিডেন্ট নেপালবাবুর কথায়, কাঁচা পটল ২০ টাকা, কাঁচা কলা ৩০ টাকা, বেগুন মাখা, মান মাখা সব বিভিন্ন দামের আছে। স্বাদ বিভিন্ন। যাতে তৈরি করার উপকরণ ধরা না পড়ে। মুর্শিদাবাদ জেলায় এগুলো অন্যরা কেও বিক্রি করেন না। নিজেরাই শুরু করেছি। তাত আয় বেড়েছে। পুজোর সময় বহরমপুরে নিয়ে যাব । একবার খেলে ভুলতে পারবেন না এটা বলতে পারি। এখন পুজোর অপেক্ষায় দিন গুনছি। বলতে বলতেই ২টো কাঁচা পটল চিরে মিহি করে কাটতে শুরু করে দিলেন।