মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ চলতি মাসের ১০ তারিখ রবিবারেই হবার কথা ছিল টিচার এলিজেবিলটি টেস্ট (টেট)। গত ২৯শে নভেম্বর রাজ্যের প্রতিটি জেলার ডিসিএসসি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরই সোমবার পর্ষদ তরফে, টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ বদলে ফেলা হয়েছে।
যদিও কী কারণে আচমকা টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ বদল করা হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পলিসিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বেনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে অহরহ।
প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বর্তমানে নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি। তাঁর জায়গায় নতুন পর্ষদ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গৌতম পাল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন পর্ষদে স্বচ্ছতা ফেরাবেন।প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। নতুন পর্ষদ সভাপতি হিসেবে গৌতম পাল দায়িত্ব নেওয়ার পরে ২০২২ সালেও ১১ই ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হয়েছিল।কিন্তু ২০২২ সালের টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দীর্ঘ পাঁচ বছর বাদে প্রাথমিকের টেট হয়েছিল সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। আর পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগও এখনও আটকে। এরই মধ্যে আবার ২০২৩ সালে নতুন করে আরও একটি টেট পরীক্ষার আয়োজন করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রথমে ঠিক ছিল ১০ ডিসেম্বর এই টেট পরীক্ষা হবে। কিন্তু সেই দিনে হচ্ছে না টেট।
২০২৩ সালের টেট পিছিয়ে গেল দুই সপ্তাহ। পর্ষদের নোটিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার। সূত্রের খবর, প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে পারছিল না পর্ষদ। সেই কারণেই শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।