Primary recruitment case বুধবার সকাল থেকেই যে খবর নিয়ে ছিল টানটান উত্তেজনা, কী হবে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ? চাকরি থাকবে না থাকেব না? শেষে এল খবর। বড় ঘোষণা। ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের বিপক্ষে হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। কিছু নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে, কিন্তু তার জন্য সবার চাকরি বাতিল করা উচিত বলে মনে করে না হাইকোর্ট। বুধবার দুপুর দু’টোর পরে রায় শোনাল কোর্ট।
আরও পড়ুন- Migrant Workers: ওড়িশায় হেনস্তা, ফিরলেন চার শ্রমিক, কমিশনে অভিযোগ
Primary recruitment case চাকরি বহাল থাকছে ৩২ হাজার শিক্ষকের।
Primary recruitment case কী পর্যবেক্ষণ কোর্টের? দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। তারপর হয় টেট। তার ভিত্তিতে ২ বার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। ৪২ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ২০২৩ সালের ১২ মে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন।
Primary recruitment case প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে-
- ২০১৬ সালের নিয়োগের আইন মানা হয়নি।
- নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ বিধি মানা হয়নি।
- নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও সিলেকশন কমিটি ছিল না। থার্ড পার্টি এজেন্সি প্যানেল তৈরি করেছিল
- অ্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়নি।
- অ্যাপটিটিউট টেস্টের কোনও গাইডলাইনই ছিল না।
- অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। কাট অব মার্কস নিয়ে উপযুক্ত তথ্য ছিল না বোর্ডের কাছে।
- শূন্যপদের অতিরিক্ত নিয়োগ হয়। এবং ন্যূনতম যোগ্যতা নেই, এমন প্রার্থীরাও চাকরি পান।
- যদিও,প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্য যুক্তি দেয়, দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। তবে কিছু বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে তা সংশোধনও করা হয়েছে বলে রাজ্যের দাবি
Primary recruitment case ৩ ডিসেম্বর এই নির্দেশে বড় স্বস্তি ৩২ হাজির শিক্ষকের। দীর্ঘদিনের চাপা উৎকণ্ঠায় স্বস্তি ফিরল বলেই মনে করা হচ্ছে।













