প্রশান্ত শর্মাঃ বহরমপুরঃ উৎসব মিটিতেই পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস TMC । কিন্তু সেই প্রস্তুতিতে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ আলির ভাষণ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক জল্পনা।রবিবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলার ৫ পৌরসভার নেতা কর্মীদের নিয়ে কর্মশালা করে তৃণমূল । এই সভায় মূল আলোচক ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত সাহা আখরুজ্জামান, সাবিনা ইয়াসমিন । উপস্থিত ছিলেন তিন তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান, খলিলুর রহমান ও অসিত মাল। পৌরসভা ভোট কোন পথে, ভাষণে জানালেন সব নেতাই। কিন্তু, কাউন্সিলররা কোথায় ? প্রশ্ন তুলে দিলেন লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি।
পৌরসভা দখল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃনমূল। কিন্তু যারা পৌরসভায় কাউন্সিলর হবেন তারা কি আদৌ দলে আছেন ? নাকি পরে যোগ দেবেন তৃণমূলে ? দল ভাঙিয়ে দখল হবে পৌরসভা? প্রশ্ন তুললেন পোড় খাওয়া তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলি।
নিজের কথার ব্যাখ্যা নিজেই দেন আলি। বলেন, মুর্শিদাবাদের পৌরসভাগুলির একটার ভোটেও আগে জেতেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু দখল এসেছে সব পৌরসভাই। এবারও কি সেই পথের ভরসায় তৃণমূল ? প্রশ্ন উঠেছে নেতার ভাষণে।
মহম্মদ আলি বলেন , “যাদের কে আমরা কাউন্সিলর হিসেবে পাবো তাঁরা এই প্রেক্ষাগৃহে আছে না তাঁরা আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে মিটিং করছে?” |
আলি এও বলেন, “যদি আপনারা নির্বাচিত হন তাহলে আপনারাই থাকবেন | যদি না হন, যারা নির্বাচিত হবেন নির্বাচনের পর তারা যথারীতি পূর্বের মতই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবে”। এতে অবশ্য অন্যায় দেখছে না তৃণমূল | মহম্মদ আলির সাফাই, নেত্রীর উন্নয়নের কারণেই বিকল্পহীন তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতার পর লোকসভা, বিধানসভায় বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান মহম্মদ আলি। আলি এও বলেন, গণতান্ত্রিক ভাবেই ভোট করতে হবে। ভয়ে দেখিয়ে বক্তব্য রাখা নিয়েও দলের কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।
তবে পৌরভোটের প্রস্তুতির সভায় বর্ষীয়ান নেতার এই ভাষণ রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।