নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক অভিযোগে মঙ্গলবার ২০ জন সিপিএম নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বুধবার তাদের মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে তোলা হয়। বাকি পাঁচজনের খোঁজ চলছে বলে দাবি পুলিশের। আদালত সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে পুলিশ। তবে তাদের মধ্যে তিন নেতা শাহানাজ ইসলাম, শাহাদালি সেখ ও জামাল হোসেনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ১৬ই ফেব্রয়ারি ধৃতদের আবার আদালতে তোলা হবে। বাকিদের দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
মঙ্গলবার বামেদের খেতমজুর সংগঠনের ডাকা আইন অমান্য আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বহরমপুর। ওইদিন টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বাম নেতা কর্মীদের। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাম যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক সন্দীপন দাস, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শাহনাজ ইসলামদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে ১৩টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তারমধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারা আছে (৩২৫), অবৈধ অস্ত্র রাখার ( ৯ MPO) ধারাও জুড়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার (৩/৪ PDPP) ধারাও রয়েছে।
পুলিশের অভিযোগ, মিছিল থেকে ইঁট ছোড়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ। ইঁটের পাল্টা টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটানোর পাশাপাশি অভিযোগ, লাঠি চার্জও করে পুলিশ। পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, ইঁটের আঘাতে এক জন সাব ইন্সপেক্টরের মাথায় আঘাত লাগে। আহত হয় বেশ কিছুজন পুলিশ কর্মী। এদিকে পুলিশের টিয়ার গ্যাসে আহত হয়ে একজন বামকর্মীর মৃত্যু হয় বলে দাবি সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লার।
আদালত চত্বরেও হাজির ছিলেন সিপিএমের নেতা কর্মীরা। সেখানে ধৃতদের মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। আজ বিকেলে সিপিএমের বহরমপুর শহর এরিয়া কমিটি ধৃত কমরেডদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিলেও দিনের শেষে জেলা জুড়েই এই প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।