নিজস্ব সংবাদদাতা, হরিহরপাড়াঃ হরিহরপাড়া থানার চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা মিনারুল ইসলাম হত্যাকান্ডের কিনারা করতে বুধবার এক নাবালক ও নাবালিকাকে থানায় নিয়ে এল পুলিশ। পুলিস সূত্রে জানা যায়, ধৃত নাবালক মিনারুলের ছেলে। সে প্রায় দু’মাস আগে একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে পুলিশ গাফফার খান ও সরফরাজ খান নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকান্ডের সুতো জুড়তে এদিন তাঁদের মুখোমুখি বসাতে চায় নাবালক ও নাবালিকাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই নাবালিকার বাড়ির থেকে মিনারুল এবং তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ মিনারুলের পরিবারের। এবার সেই কারণেই মিনারুলের এই পরিণতি নাকি তারই তদন্তে নেমেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই চোঁয়া থানার ওই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান নসিয়ত শেখ সহ সাত জনের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বাবার মৃত্যু সংবাদ গনমাধ্যম থেকে জানতে পেরে হরিহরপাড়ার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে মিনারুলের ছেলে। মঙ্গলবার জেলা পুলিশের একটি দল গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে তাঁদের ধরে আনতে। এদিকে বুধবার সকালে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান হরিহরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক ইনসার আলি বিশ্বাস। ঘটনার এক সপ্তাহ হতে চলেছে কিন্তু এখনও কিনারা হয়নি খুনের। ধৃত দুই নাবালক-নাবালিকাকে রাখা হয়েছে সরকারি হোমে। গত ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফিল্মি কায়দায় খুন করে হরিহরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে ফেলে চম্পট দিয়েছিল অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই ব্যাক্তি।